দেশকন্ঠ অনলাইন : খরিপ-১ মৌসুমে গোপালগঞ্জে ৩৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫২০ হেক্টরে ৯ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন সবজি, মুকসুদপুর উপজেলার ৪০০ হেক্টরে ৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সবজি, কাশিয়ানী উপজেলার ৬৩০ হেক্টরে ১১ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন সবজি, কোটালীপাড়া উপজেলার ৪৩৫ হেক্টরে ৭ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১৬৫ হেক্টরে ২ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, খরিপ-১ মৌসুমে গোপালগঞ্জে ডাটা, পুঁইশাক, ঢ্যাড়শ, চিচিঙ্গা, বরবটি, কচু, কচুর লতি, লাউ, শশা, বেগুন, কুমড়া, ঝিঙ্গে, করলা, উচ্ছে, পেঁপে, চালকুমড়া, ধুন্দলসহ বিভিন্ন শাক সবজি উৎপাদিত হবে । ইতিমধ্যে এসব সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। নতুন এসব সবজি বাজারে ৩০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির ভালো দাম পেয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজ আক্তার বলেন, ধান,পাট বা অন্য যেকোন ফসলের তুলনায় সবজি বেশি ফলে। প্রতি হেক্টরে যেখানে বোরোধান ৬ মেট্রিক টন ফলন দেয়। পাট ফলন দেয় ২.৭৬ টন। কিন্তু সবজি হেক্টর প্রতি কমপক্ষে ১৮ মেট্রিক টন ফলন দিতে সক্ষম । তাই যে কোন ফসলের তুলনায় সবজি চাষ লাভজনক। এজন্য কৃষকদের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে । তারাও আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ নিয়ে সবজির চাষাবাদ করছেন। এতে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সবজি চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
সবজি চাষী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের চয়ন ভূইয়া বলেন, আমরা সবজি, ফলসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ রয়েছে। শাক সবজি যে কোন ফসলের তুলনায় অধিক উৎপাদিত হয়। শাক সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বাজারে বিক্রি করা যায় । এতে প্রতিদিনই নগদ টাকা আয় রোজগার করা যায় । তাই আমি আমার উচু জমি, পুকুরপাড়সহ অন্তত ৫০ একর জমিতে সবজির চাষাবাদ করেছি। এখান থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার টাকার শাক সবজি বিক্রি করছি । আমার দেখাদেখি অনেকেই শাক, সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ৫০ শতাংশ জমি থাকলে তাতে সারা বছর শাক সবজির চাষাবাদের আয় থেকে ৪ সদস্যের একটি সংসার আনায়াসে চালিয়ে নেওয়া যায়। তাই আমি কৃষক ভাইদের সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ার আহবান জানাচ্ছি।
দেশকন্ঠ//