• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২  নিউইয়র্ক সময়: ১৩:৪০    ঢাকা সময়: ২৩:৪০

লিটনের পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে শান্তর পারফরম্যান্স

দেশকণ্ঠ অনলাইন : প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টসে জিতে প্রতিবার ব্যাটিং নিলেও তৃতীয় ম্যাচে টসে হেরে ঠিকই প্রথমে ব্যাট করতে হয়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে হাসেনি টাইগার অধিনায়কের ব্যাট। আউট হয়ে গেছেন মাত্র ৬ রানে। সে কারণে লিটন দাসের পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে শান্তর ব্যাটিও। পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে এই বাহাতি ব্যাটারের স্ট্রাইক রেটও। টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটা বদলাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ২০২৪ আইপিএলে দেখা যাচ্ছে, ২০ ওভারের ম্যাচে এখন ২৫০ রানও নিরাপদ নয়! অথচ এই সংস্করণে বাংলাদেশ এখনো পড়ে আছে ‘আদি যুগে’। জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে ১২০-১৩০ রান তাড়া করতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কী সংগ্রামই-না করছেন। দুই ম্যাচেই টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার ‘সাহস’ দেখায়নি বাংলাদেশ। পরে ব্যাটিং করেও টপ অর্ডার এগিয়েছে টি-টোয়েন্টিবিরোধী ব্যাটিং করে।
 
দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস অবশ্য স্বীকার করলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চট্টগ্রামে সেভাবে করছেন না তাঁরা। খেলছেন সিরিজ জিততে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি করতে হয়, সেটি হবে সিরিজ জেতার পর দুই ম্যাচে। সেসব হতে পারে সাকিব-সৌম্যর উপস্থিতিতে। জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে এই হিসাবি ক্রিকেট উপভোগ্য হওয়ার কথা নয় দর্শকদের। বিশ্বকাপের আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ২০০ রান তোলার অভ্যাস না তৈরি হলে আইসিসির রানপ্রসবা উইকেটে শান্তরা কীভাবে নিজেদের স্বচ্ছন্দে এগিয়ে নেবেন? আগে ব্যাটিং করে ২০০ কিংবা পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রান তাড়া করতে হলে নিখাদ একটা টপ অর্ডার প্রয়োজন। নিজেদের দুর্বলতা ভালো করেই জানে স্বাগতিকেরা। টস জিতে দুর্বল প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং পাঠানো নিজেদের দুর্বলতা বিবেচনা করেই। কদিন ধরে আলোচনায় বাংলাদেশের টপ অর্ডারের স্ট্রাইকরেট। লিটন দাসের গত ১০টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৬ ইনিংসে ১০০-এর কম স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন, সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেটই ১২২.৩৩। সবচেয়ে বেশি চর্চা যাঁকে নিয়ে, সেই অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট ১১১.০৫।
 
অথচ টপ অর্ডারই শুরুতে প্রতিপক্ষের সেরা বোলারদের ওপর রানবন্যা বইয়ে দলকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দলের সম্ভাব্য অধিনায়কদের মধ্যেও সবচেয়ে কম স্ট্রাইকরেট নিয়ে তালিকায় ১৯ নম্বরে শান্ত। তাঁর পরে আছেন শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা বাকি চার দলের অধিনায়কের চেয়েও শান্তর স্ট্রাইকরেট কম। দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামের ১৫০.৬৭, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১৩০.৫২, নেপালের রোহিত পাওডেলের ১২৪.৯১ ও নেদারল্যান্ডসের স্কট এডোয়ার্ডসের ১২১.৫৫। শান্তর এমন স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং টি-টোয়েন্টিতে কতটা মানানসই? অধিনায়ককে নিয়ে সহকারী কোচকে এমন কঠিন প্রশ্নও শুনতে হলো।
 
তাতে তিনি অবশ্য শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন, ‘একজন ব্যাটসম্যানের জন্য এটা হতেই পারে। আমি মনে করি, তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে আলাপটা অপ্রাসঙ্গিক; কারণ, সে যদি বড় ইনিংস খেলতে পারে, তাহলে স্ট্রাইকরেটও বেড়ে যায়। সম্ভবত বিষয়টা হচ্ছে, কখন ওই পর্যায়ে পৌঁছাবে? কারণ, সে যদি খেলাটা ওভাবে শুরু করতে পারে, তাহলে তার স্ট্রাইকরেট আকাশ ছুঁয়ে যাবে।’ টেস্ট ও ওয়ানডেতে রানে ফিরলেও টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ছন্দে নেই শান্ত। গত ১৪ ম্যাচে তাঁর একটি ফিফটি। বিশ্বকাপের আগে এটা নিয়েও চিন্তিত নন পোথাস। বললেন, ‘একেবারেই না। সে দারুণ খেলছে। কিন্তু তার সম্পর্কে সবচেয়ে মুগ্ধ করার বিষয় হলো, সে যেভাবে দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে একজন তরুণ অধিনায়ক। খুবই সাহসী। ভবিষ্যতে আপনারা এর উপকারিতা দেখবেন।’ এদিকে খারাপ খেলার পরও লিটন-শান্তর সামর্থ্যে আস্থা রাখছে দল। ব্যাট হাতে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের।
দেশকণ্ঠ//
 
রান করতে যেন ভুলতে বসেছেন টাইগার এই ওপেনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ রান করার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করেছেন ২৫ বলে ২৩ রান। তৃতীয় ম্যাচেও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। এমন ইনিংস খেলার পরেও টিম ম্যানেজমেন্টকে পাশে পাচ্ছেন লিটন। দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস জানালেন, এই ওপেনারের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই তার। বড় রান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্বকাপের উইকেট প্রসঙ্গে পোথাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট এখানকার মতো হবে না। আমরা ভালো উইকেটে খেলব। এই উইকেটগুলও ভালো তবে শুরুতে বোলারদের সহায়তা দিচ্ছে। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা দ্রুত কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়’। 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।