• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:২৯    ঢাকা সময়: ১৪:২৯

হোয়াইটওয়াশের কিনারে দাড়িয়ে জিম্বাবুয়ে

দেশকণ্ঠ অনলাইন : শুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য জিম্বাবুয়েকে আনা হয়েছে বলা হলেও পরে নিজেদের বক্তব্য থেকে সরে আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা। আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে খেলে যুৎসই প্রস্তুতি হবে না বলে পরে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ম্যাচ থেকেই দলে ফিরিয়ে আনা হয় সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। তারপরও ৫ রানের কষ্টার্জিত জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার শেষ ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে যে পরিকল্পনা নিয়ে সিকান্দার রাজার দলকে নিয়ে আসা হয়েছিল তার কতটা পূরণ হয়েছে সেটি এখন প্রশ্নস্বাপেক্ষ বিষয়। শেষ দুই ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়ের কারণে পঞ্চম ম্যাচটি জয় পাওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় তৈরি হয়েছে। যে দলটি উগান্ডার মতো নতুন দলের কাছে হারতে পারে সেই দলটিই এবার বাংলাদেশকে সহজে জিততে দিচ্ছেনা। এর আগে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে জিম্বাবুয়ে। মিরপুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সান্ত্বনার জয় পেতে প্রাণপণ লড়াই করে জিম্বাবুয়ে। সাকিব আল হাসানের নৈপুণ্যে ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরিস্কার ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।
 
এই ম্যাচে শেষ ওভারে জিততে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৪ রান। হাতে ছিল ২ উইকেট। ওভারের প্রথম বলে সাকিবকে তুলে মারতে যান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। লং অফে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। এই ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানি ছক্কা মারেন লং অনের ওপর দিয়ে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে মাথা খাটিয়ে উইকেট তুলে নেন সাকিব। চতুর্থ বলটা করেন ওয়াইড লাইনে। মুজারাবানি এগিয়ে খেলতে যান। উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক সহজেই তা স্টাম্পিং করেন। পরের বলে রিচার্ড এনগারাভা ক্রস ব্যাটে খেলতে গেলে বোল্ড হয়ে যান। ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ১০ মাস পর খেলতে নেমে ৪ উইকেট নিলেন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়।
 
ইনিংসের চতুর্থ বলে তাসকিনকে পুল করতে যান ব্রায়ান বেনেট। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়া বল মিড অনে ডাইভ দিয়ে ধরেন সাকিব। প্রথম ওভার জিম্বাবুয়ে শেষ করে ১ উইকেটে ৪ রানে। ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয়, পরপর দুই ওভার বোলিং করেন দুই সাকিব। দুজনেই ছিলেন খরুচে। দ্বিতীয় ওভারে তানজিম সাকিব খরচ করেন ১৪ রান। সাকিব তৃতীয় ওভারে দেন ৮ রান। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা সিকান্দার রাজা ইনিংস বড় করতে পারেননি। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রাজাকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাসকিন। ১০ বলে ৪ চারে ১৭ রান করেন রাজা। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত বোলিং করেন সাকিব। ৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ওভারের পঞ্চম বলে সাকিবকে স্লগ সুইপ করতে যান তাদিওয়ানাশে মারুমানি। তাতে এলবিডব্লিউর ফাদে পড়েন মারুমানি। ১৩ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। পরের বলে ক্লাইভ মাদান্দের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার আউট না দিলে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রিভিউ নেন। রিভিউ অবশ্য নষ্ট হয়েছে।
 
পাওয়ার প্লে প্রথম ৬ ওভার জিম্বাবুয়ে শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৩৮ রানে। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রান তোলার গতি অবশ্য কমই থাকে জিম্বাবুয়ের। দশম ওভারের প্রথম বলে জোনাথন ক্যাম্পবেল পুল করতে যান রিশাদ হোসেনকে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে এসে বল প্রায় তালুবন্দী করেও তা তাওহীদ হৃদয়ের হাত গলে বেরিয়ে যায়। ক্যাম্পবেলের রান তখন ১২। এই ওভারেই উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। ওভারের তৃতীয় বলে রিশাদকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মাদান্দে। জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৭ রান। ৫৮ রানেই জিম্বাবুয়ে হারাতে পার অর্ধেক ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারতেন। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে তানজিম সাকিবকে পুল করতে যান রায়ান বার্ল। তবে আকাশে ভেসে থাকা বল ধরতে দৌড় দিয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক। তানজিম সাকিবের ওপর দিয়েই পরে ঝড় বইয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে তানজিম সাকিব খরচ করেন ২০ রান। বার্ল ও ক্যাম্পবেল একটি করে ছক্কা মারেন। এই ওভারে ক্যাম্পবেল একটি চারও মারেন। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে টাকি মাছ ধরার খেলায় যখন ব্যস্ত ফিল্ডাররা, দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে তাক লাগিয়ে দেন সৌম্য সরকার। লিটন দাসকে নিয়ে জীর্ন ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েই তানজিদ তামিমের সাথে শতরানের জুটি গড়েন।
দেশকণ্ঠ//
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।