• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:০৭    ঢাকা সময়: ১৪:০৭

কেমন বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হলো বাংলাদেশের

দেশকন্ঠ অনলাইন : টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও বাংলাদেশ দল শেখার পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ডের মতো দলের সম পর্যায়েও যেতে পারেনি। সামনেই বিশ^কাপ থাকায় দুঃসময়ের প্রিয় দল জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে আনা হয়। যে দলটি ওয়ানডে বিশ^কাপের পর কুড়ি ওভারের বিশ^কাপেও খেলতে পারছেনা। সেই দলটির বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে বড় পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশ দলের। ১৫৭ রান করেও ৮ উইকেটের বড় পরাজয় চোঁখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এখনও কতটা পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে নূন্যতম ব্যবধানে জয়েল পর শেষ ম্যাচটা জিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশের স্বপ্ন ছিল। সেটা তো হয়ই নি উল্টো বড় পরাজয় বিশ^কাপ প্রস্তুতির ঘাটতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের কাছে এমন হার তাই মেনে নিতে পারছেনা দর্শক সমর্থখরা। যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্টিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে ডেকেছিল বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির ৪ ম্যাচ জিতেও দলের পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারেনি টাইগার সমর্থকদের। চট্টগ্রামে টানা তিন ম্যাচ জিতে ঢাকায় ধুম ধারাক্কা ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য ছিল।
 
তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি দল। শেষ ম্যাচে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব বিভাগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ ছিল। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচেও ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স দেখালো টিম বাংলাদেশ। বেনেট ও সিকান্দার রাজার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসানদের ৮ উইকেটে হারায় জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারী দল। সান্ত্বনার এই জয়ে অবশ্য ধবলধোলাই আটকাল জিম্বাবুয়ে। রান তাড়া করতে নেমে লক্ষ্য তাড়া করার ম্যাচে জিম্বাবুয়ের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর তান্ডব চালাতে থাকেন ব্রায়ান বেনেট। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন আরেক ওপেনার মারুমানি। ব্রায়ান বেনেটের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৪ ওভোরেই ৩৮ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।
 
এই জুটি ভাঙে সাকিবের কল্যাণে। ১ রান করা মারুমানিকে ফিরিয়ে আঘাত আনেন সাকিব। এরপর সিকান্দার রাজা ও ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটে রানের গতি বাড়তে থাকে জিম্বাবুয়ের। বেনেটকে ফিরিয়ে ৭৫ রানের এই জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ৫ চার ও সমান ছক্কায় ৪৯ বলে ৭০ রান করেন বেনেট। পরে দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। শেষ দিকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। এতে টানা চার ম্যাচ জিতলেও শেষটি হেরে যাওয়ায় সফরকারীদের ধবলধোলাই করা হলো না বাংলাদেশের। ৪৬ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। ৯ বলে ৮ রানে অপরাজিত ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৯ রানে ১ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। অন্য উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। কিন্তু ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৫৫ রান। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই বাজে হয় বাংলাদেশের।
 
মাত্র ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ২ রান করে ফেরেন তানজিদ, ৭ বলে ৭ রান করেন সৌম্য। দুই ওপেনারের পর আউট হন তাওহিদ হৃদয়ও। ৬ বলে ১ রান করতেই আউট। শুরুর ব্যাটিং ধস সামলে মাহমুদউল্লাহ-শান্তে বড় পুঁজির আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে টেনেটুনে দেড়শ' পার করতে পেরেছে টাইগাররা। ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেন মাহমুদউল্লাহ। শেষদিকে জাকের আলীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২৪ রান। সাইফউদ্দিন ৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। সাকিব ২১ রান করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি-ব্রায়ান বেনেট। অথচ নিখুত সমাপ্তির প্রত্যাশা ছিল। বিশেষ করে ব্যাটিং কোনোভাবেই প্রত্যাশা মেটাতে পারছে না। চতুর্থ ম্যাচে ফিল্ডিংও বাজে হয়েছে। অথচ বিশ্বকাপের আগে সব বিভাগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ ছিল।
 
এদিকে শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলনে চোট চেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। জানা গেছে, ম্যাচ শুরুর আগে অনুশীলনের সময় চোটে পড়েন তিনি। তবে চোট কতটা গুরুতর, তা জানা যায়নি। মূলত গত ম্যাচে ডাইভ দিতে গিয়ে পাঁজরে ব্যথা পান তাসকিন। এই ম্যাচের আগেও ব্যাথা না কমায় তাকে খেলাতে পারেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি বলেন, ‘তাসকিন শেষ ম্যাচে বোলিং করতে গিয়ে পাঁজরে কিছুটা ব্যাথা অনুভব করে। সেই ব্যাথা রবিবার সকালেও ছিল যে কারণে ম্যাচ খেলানো হয়নি। সে পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ম্যাচ শেষে আমরা একটা স্ক্যান করে দেখব কি অবস্থা।’ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই কাঁধের চোট তাসকিনকে ভোগাচ্ছিল। বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচে চোট নিয়েই খেলেছেন। 
দেশকণ্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।