দেশকন্ঠ অনলাইন : কম্পিউটারে কোনো ধরনের টুল বা সফটওয়্যার থাকবে আর কোনো ধরনের সফটওয়্যার থাকবে না সেটা ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। তবে কাজ করার ক্ষেত্রে ডিভাইস ও তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।
তাই প্রত্যেকটি কম্পিউটারে এমন কিছু সফটওয়্যার অবশ্যই থাকা প্রয়োজন সেগুলো দ্বারা সব শ্রেণির ব্যবহারকারী উপকৃত হয়, তাদের যে কোনো ধরনের কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে এবং কম্পিউটার সিকিউর থাকে।
আল্টিমেট ফায়ারওয়াল : কম্পিউটারের ইন্টারনেট নিরাপত্তার জন্য ফায়ারওয়াল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কারণ এর মাধ্যমে কানেকশন মনিটরিং, ইন্টারনেট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ব্লক করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করা যায়। যদিও প্রত্যেক কম্পিউটারে ডিফল্টভাবে ফায়ারওয়াল প্রোগ্রাম ইনস্টল করা আছে তারপরও ফায়ারওয়াল প্রোগ্রামের সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য এটা যথেষ্ট নয়। তাই ফায়ারওয়ালের জন্য বিশেষায়িত একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিতে হবে।
ভিপিএন : ব্ল্যাক্লিস্টেড ওয়েবসাইট, চ্যানেলে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া ছাড়াও ভিপিএন আরও সুবিধা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা গোপন রাখা এবং অনলাইনে শেয়ার করা তথ্যকে এনক্রিপ্ট বা সুরক্ষিত রাখা। প্রাইভেট বা পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে এটি ভালোভাবে কাজ করে থাকে।
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার : যে কোনো কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। এসব অ্যাকাউন্ট ও ই-মেইল পরিচালনায় পাসওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ। ভিপিএন ব্যবহার না করলেও নিজ ও তথ্যের সুরক্ষায় পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ডিভাইসে আরেকটি নিরাপত্তা স্তর যুক্ত করে থাকে।
এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ : স্মার্টফোনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কম্পিউটারেও এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে সাইবার হামলাকারীরা সহজে কোনো তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে না। এদিক থেকে অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপশন সুবিধাযুক্ত মেসেজিং অ্যাপ রয়েছে সিগন্যাল। এনক্রিপশন ছাড়াও অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের ডিজঅ্যাপিয়ারিং বা নির্দিষ্ট সময় পর মুছে যাওয়ার মেসেজ পাঠানোর সুবিধা দিয়ে থাকে।
নিরাপদ ই-মেইল : অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এনক্রিপ্টেড ইমেইল পরিষেবা ব্যবহার বেশ ব্যয়বহুল। তবে এ সুবিধা রয়েছে এমন ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করা ভালো। এ ধরনের একটি পরিষেবা হলো প্রোটন মেইল।
ব্যক্তিগত ফাইলের নিরাপত্তা : কম্পিউটারের নিরাপত্তা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যক্তিগত ফাইলের নিরাপত্তা। ব্যক্তিগত ফাইলগুলো যাতে অন্যদের নজরে না আসে এজন্য নিশ্চয় কম্পিউটারের ডিফল্ট হাইড অপশন ব্যবহার করেন? কিন্তু যে কেউ চাইলেই সেটা আনহাইড করে দেখে ফেলতে পারবে। কম্পিউটারে ব্যক্তিগত ফাইলগুলোর নিরাপত্তার জন্য আজ থেকে ব্যবহার করুন Wise Folder Hider
দেশকন্ঠ//