• বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২০:৩৫    ঢাকা সময়: ০৬:৩৫

হিসেব পাল্টে যেতে পারে : শান্ত

দেশকন্ঠ অনলাইন : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে যে কোন দলকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে শক্তিশালী ‘ডি’ গ্রুপে শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের মত দলের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। নেপালকে সহজ প্রতিপক্ষ হলেও  গ্রুপের অন্য তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়তে হবে টাইগারদের।
 
প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনায় প্রথম রাউন্ড বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। তবে প্রথম রাউন্ডে সফল হবার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শান্ত। প্রত্যাশনুযায়ী সাফল্যের জন্য ছোট ছোট পরিকল্পনার উপর জোর দিচ্ছেন তিনি। আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকাতে হলে আমাদের ছোট ছোট পরিকল্পনা করতে হবে। আমরা শক্ত  গ্রুপে আছি। এজন্য বেশ কঠিন হবে। তবে টি-টোয়েন্টিতে ছোট বা বড় দল বলে কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে ভাল খেলতে পারলে  আমরা যে কোনও দলকে হারাতে পারি।’
 
বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে দুবাই হয়ে হিউজস্টনের  উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। শান্ত জানান, মর্যাদাপূর্ণ মেগা ইভেন্টের জন্য দলের কম্বিনেশন এবং প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। যদিও অধিনায়ক নিজেই অফ-ফর্মে অছেন। বিশ্বকাপে জ¦লে উঠার ব্যাপারে আশাবাদি টাইগার দলনেতা। তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের প্রস্তুতি এবং টিম কম্বিনেশন বিবেচনা করা হয়, তাহলে আমি মনে করি এটা খুব ভালো দল। বিশেষ দিনে সবারই ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত তারা নিজেদের সেরাটা দিবে।’ শান্ত আরও বলেন, ‘গত বিশ্বকাপে আমি দারুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছি। এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই। আমি কঠোর পরিশ্রম করছি, অনুশীলনে উন্নতি করছি। আমি আত্মবিশ্বাসী, এই বিশ্বকাপে আমি আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারবো।’
 
দলের বোলিং গ্রুপ যেকোন কন্ডিশনে ভালো করতে পারে বিধায়, বিশ্বকাপে সাফল্যে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমাদের পেস বিভাগ অনেক উন্নতি করেছে। বোলিং ইউনিট ভালো করলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে বোলাররা বড় ম্যাচ উইনার। আমাদের  স্পিন বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকায় এমন কন্ডিশনেও  ভালো করা উচিত তাদের। সব মিলিয়ে বোলিংই আমাদের শক্তি।’ অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনকে বাদ দেওয়া এবং লিটন দাসকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও কথা বলেন  শান্ত। দল ঘোষণার পর থেকেই শিরোনাম রয়েছেন এই দুই খেলোয়াড়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিলেও সাইফুদ্দিনের জায়গায় বিশ^কাপ দলে নেওয়া হয়েছে পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে। এছাড়া বাজে ফর্ম সত্ত্বেও দলে জায়গা ধরে রেখেছেন লিটন। শান্ত বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগ থেকেই দল নিয়ে কোচ, আমি এবং তিন নির্বাচক আলোচনা করেছি। আমরা একত্রে দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাইফুদ্দিনের চেয়ে দ্রুত গতিতে বোলিং করেছে সাকিব। সাইফুদ্দিনের পারফরমেন্স আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। দু’জনের মধ্যে ভালো লড়াই হয়েছে। কিন্তু সব কিছু বিবেচনায় সাকিবের উপর আস্থা ছিল আমাদের।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘লিটন খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সম্প্রতি ভালো সময় যাচ্ছে না তার। এটা যেকোন ক্রিকেটারের সাথেই হতে পারে। এত বড় ইভেন্টে আমরা নতুন খেলোয়াড় নিতে চাইনি। আমরা লিটনের অভিজ্ঞতার মূল্য দিয়েছি।’ শান্তর বিশ্বাস, বিশ্বকাপের আগে সাইড স্ট্রেইন ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই তাসকিনকে পাওয়া যাবে। এটা মেডিকেল টিমের কাছ থেকে শুনেছি। সে আমাদের প্রধান বোলার। সে দলে না থাকলে আমাদের বিকল্প খেলোয়াড় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
 
লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে পরিপূর্ণ প্যাকেজ মনে করেন শান্ত। তিনি জানান, রিশাদকে পুরোপুরিভাবে স্বাধীনতা দিতে চান, যাতে সে তার সেরাটা প্রদর্শন করতে পারে। শান্ত বলেন, ‘আমাদের দলে ভালো লেগ স্পিনার আছে। সম্প্রতি বেশিরভাগ ম্যাচেই ব্যাট-বল হাতে পারফর্ম করেছে রিশাদ। তার ব্যাটিংয়ের কারণে বাড়তি সুবিধা পায় দল। সে আমাদের সেরা ফিল্ডারদের একজন। সে পরিপূর্ণ প্যাকেজ। সে সেরাটা দিতে পারলে, দল সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমি তাকে কোন চাপে ফেলতে চাই না। আমি চাই, সে যা করতে পারে সেটাই করুক।’ ৮ জুন ডালাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। মেগা ইভেন্টের আগে, বিশ^কাপের যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
দেশকণ্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।