• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১২:২৬    ঢাকা সময়: ২২:২৬

আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

  • বাণিজ্য       
  • ১৬ মে, ২০২৪       
  • ৬২
  •       
  • ০১:৪৫:০৭

দেশকন্ঠ অনলাইন : পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামোখাতে ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা মোট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভাকক্ষে এনইসি চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

এনইসি সভাশেষে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার ব্রিফিংয়ে জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিবি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকী ১ লাখ কোটি টাকার অর্থায়ন আসবে বিদেশী উৎস থেকে।চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল এডিবির আকার ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

সত্যজিত কর্মকার বলেন, ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল এডিপি ছাড়াও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থের মধ্যে ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা  স্থানীয় উৎস্য থেকে এবং ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিদেশী উৎস থেকে আসবে।

স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার ব্যয় মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে সামগ্রিক এডিপি আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা সচিব বলেন, আগামী অর্থবছরের এডিবিতে ১,৩২১টি প্রকল্প রয়েছে যার মধ্যে ১,১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সম্ভাব্যতা প্রকল্প, ৮৭টি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প এবং ৮০টি প্রকল্প স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশন দ্বারা বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, এবারের এডিপিতে প্রায় ১,২২৫টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে ৮০টি পিপিপি প্রকল্প এবং ৩০০টি প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে বাস্তবায়ন করা হবে।

বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রম-শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণ সংক্রান্ত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের মধ্যে রাজধানীর নতুন মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা রেলসেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ চলমান বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বরাদ্দের কারণে সার্বিকভাবে এ খাতের বরাদ্দ বেড়েছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।

নতুন এডিপিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বা মোট বরাদ্দের ১৫ শতাংশের বেশি। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষা খাতে। এ খাতে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট এডিপির প্রায় ১২ শতাংশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মোটাদাগে ১৫টি খাত ৯৬ শতাংশের বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। পরিবহন ও যাতায়াত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে গৃহায়ণ খাতে ২৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা এবং কৃষি খাত ১৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।
দেশকন্ঠ//

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।