• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৩:৪৫    ঢাকা সময়: ২৩:৪৫

গার্দিওলা ও ম্যানসিটির চার শিরোপা জিতে ইতিহাস

দেশকণ্ঠ অনলাইন : একদিকে যখন ইয়ুর্গেন ক্লপের বিদায় দেবার বিষয়টি চুড়ান্ত তখই দারুণ এক ম্যাচ জিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের আগে রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায় ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। লিগের শেষ দিনে শিরোপা লড়াইয়ে ছিল আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। সিটির জন্য সমীকরণটা ছিল সহজ। জিতলেই শিরোপা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে কোনও ভুল করেনি তারা। ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছে। শেষ দিনের আরেকটা সমীকরণ ছিল এমন- সিটি পয়েন্ট হারালেই কেবল আর্সেনালের সম্ভাবনা জেগে উঠতো। পাশাপাশি নিজেদের ম্যাচটাও জিততে হতো। কিন্তু আর্সেনাল ২-১ গোলে এভারটনকে হারালেও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আধিপত্য ধরে খেলা সিটি ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ২ ও ১৮ মিনিটে দুটি গোলই করেছেন ফিল ফোডেন। ৪২ মিনিটে একটি শোধ দেয় ওয়েস্ট হ্যাম। গোল করেছেন কুদুস।
 
রদ্রি আবার ৫৯ মিনিটে সিটির হয়ে তৃতীয় গোলটিও আদায় করে নেন। শেষ দিকে আরও একবার জাল কাঁপিয়েছিল ওয়েস্ট হ্যাম। কিন্তু হ্যান্ডবল হওয়ায় রিভিউতে বাদ পড়ে সেটা।  ২০০৪ সালের পর প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা আর্সেনাল শুরুতেই ধাক্কা খায় ৪০ মিনিটে। তাদের জাল কাঁপিয়ে স্কোর ১-০ করেছিলেন ইদ্রিসা গুয়ে। তিন মিনিট পর অবশ্য তাকেহিরো তোমাইয়াসুর গোলে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। শেষ দিকে ৮৯ মিনিটে কাই হাভার্টজের গোল গানারদের জয় নিশ্চিত করলেও সিটির তিন পয়েন্ট সব সম্ভাবনা শেষ করে দেয় তাদের। কোচ হিসেবে ইয়ুর্গেন ক্লপের শেষ দিনে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুলও। তারা উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে। অ্যানফিল্ডে ক্লপের বিদায়ী ম্যাচ হওয়ায় আবহটা ছিল আবেগঘন। আয়োজনের সব কিছুই ছিল তাকে কেন্দ্র করে।
 
৯ বছরের অধ্যায়ের শেষ হচ্ছে দেখে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন থেকে শুরু করে শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন দর্শকরা। ক্লপের বিদায়কে স্মরণীয় করতে বোস্টন থেকে উড়ে আসেন লিভারপুলের মালিক জন ডাব্লিউ হেনরি। শিষ্যরাও উপহার দিয়েছেন মূল্যবান তিনটি পয়েন্ট। ৩৪ মিনিটে একটি গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। ৪০ মিনিটে দ্বিতীয়টি করেছেন কুয়ানস্যাহ। অপর দিকে, শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগে জায়গা নিশ্চিত করেছে টটেনহাম। ৩৮ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে লিগ শেষ করেছে তারা। লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ৯১ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছে। দ্বিতীয়স্থান নিশ্চিত করা আর্সেনালের সংগ্রহ ৮৯ পয়েন্ট।  লিভারপুলের সংগ্রহ ছিল ৮২ পয়েন্ট। এদিকে শিরোপা জিতে ম্যানসিটি ছেড়ে যাওয়ার কাছাকাছি এখন গার্দিওলা!
 
প্রতি মৌসুম শেষ হলেই পেপ গার্দিওলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। রবিবার মধ্যরাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে টানা চতুর্থ শিরোপা জিতিয়ে এবারও একই প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি। এবার অবশ্য ছেড়ে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন সিটি কোচ। স্কাই নিউজকে গার্দিওলা বলেছেন, ‘বলতে কষ্ট হলেও বাস্তবতা হচ্ছে আমি থাকার চেয়ে চলে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থান করছি।’ ২০১৬ সাল থেকে সিটির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। চুক্তি রয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার অনুভূতি হচ্ছে এখন আমার থাকতে সমস্যা নেই। আগামী মৌসুমেও থাকবো। তখনই আমি কথা বলবো। কিন্তু আট-নয় বছর হলে তখন ব্যাপারটা ভেবে দেখতে হবে।’ গার্দিওলার অধীনে আট বছরে মেজর ১৫টি শিরোপা ঘরে তুলেছে সিটি। লিগের শেষ ম্যাচের পর ক্লান্তির কথা জানালেও সেটা ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
 
তবে আগামী সপ্তাহে এফএ কাপের ফাইনালে মৌসুমের শেষ ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছেন ভীষণ। এখন তার নতুন কোনও প্রেরণা প্রয়োজন, ‘আমার চুক্তি আছে বলে এখনও আছি। তবে কখনও কখনও নিজেকে ক্লান্ত লাগে। কখনও কখনও আবার মুহূর্তগুলো ভালোবাসি। আমরা এখানে ম্যাচ জেতার জন্য আছি। নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে অবস্থাটা আরও দারুণ। আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে, কেউ কখনও টানা চারটি শিরোপা জেতেনি। তাহলে চেষ্টা করে দেখা যাক। এখন তো সেটা করা শেষ। তাহলে পরে কী হবে?’ সিটিতে সব কাজ শেষ হওয়া এখন নতুন প্রেরণার খোঁজ করছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘এই মুহূর্তে ঠিক কী প্রেরণা কাজ করবে সেটা জানি না। যখন সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়, নতুন করে সেটা বের করা কঠিন।’ যদি কথা মতো আগামী মৌসুমে গার্দিওলা থেকে যান। তাহলে তিনি চাইবেন আবার যেন শিরোপা লড়াইয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ জানায় আর্সেনাল। তিনি বলেছেন, ‘আগে লিভারপুল আমাদের ওপর চাপ তৈরি করতো। এখন আর্সেনাল।’
দেশকণ্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।