• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১১:২৫    ঢাকা সময়: ২১:২৫

মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই বিশ্বকাপে জাকের আলী

দেশকণ্ঠ অনলাইন : বাজে অভিজ্ঞতা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের অভিযোন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। বেশ কয়েকমাস ধরেই দলের সঙ্গী জাকের আলী অনিক। উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান হয়ে দলে অবদান রাখতে চান। এরই মধ্যে যে ম্যাচগুলোয় সুযোগ পেয়েছেন নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেস্টা করে চলেছেন। অনিক ক্রিকেটে কীভাবে এলেন জানেন? না জানলে তাঁর মুখ থেকেই শুনুন, ‘অনিকের ক্রিকেটে আসার গল্পটা...বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখে আসা। ২০০৭ থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। বিশেষ করে, ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ, তখন থেকেই আমি ক্রিকেট খুব ভালোভাবে বুঝি। তখন থেকেই আমার ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা।’
 
জাকেরের এই গল্পটা হয়তো অনেকে জানেন। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা দেখা গেছে গত মার্চে, সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও ৩৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। এরপর সিলেটের এই ‘লোকাল হিরো’ই হয়ে ওঠেন ‘জাতীয় হিরো’। ম্যাচের পর তাঁর বোনের মুখে জাকেরের গল্প তো সবাই শুনেছেন। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের অভিষেকটা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। তবে ফোকাসটা পান শ্রীলঙ্কা সিরিজে। আর এখন তিনি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াটাকে কাজে লাগাতে চান জাকের তিনি।
 
নিজের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমার কাছে দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আর সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তাহলে তো আরও ভালো। যখন থেকে শুনলাম (বিশ্বকাপ দলে) আমি আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কী রকম খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম স্ট্র্যাটেজি হওয়া উচিত, আমি ও রকম চিন্তাভাবনা করছি, ওভাবে আগাচ্ছি।’ জাকেরের এসব পুরোনো দিনের স্মৃতি আর বিশ্বকাপ পরিকল্পনার কথা জানা গেছে আজ। বিশ্বকাপ দলে থাকা সদস্যদের নিয়ে ‘দ্য গ্রিন রেড ডে’ নামে নিয়মিত এক ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। এই পর্বে ছিল জাকেরের আড়াই মিনিটের সাক্ষাৎকার। সেই ভিডিও নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছে বিসিবি। সেখানে জাকের আরও বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রতিটি ম্যাচে ধাপে ধাপে ভালো পারফরম্যান্স করব, জিতব। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করব। সেটাও একটা বিষয় যে, মাথায় রাখতে হচ্ছে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে হবে। আমাকে যেভাবে দলে স্বাগত জানানো হয়েছে, ওই জিনিসটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে। আমাকে যেভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, ওটা খুবই স্পেশাল ছিল।’
 
দেশের হয়ে খেলছেন। এটা গর্বের বিষয় জাকের ও তাঁর পরিবারের জন্য। মায়ের স্বপ্নপূরণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক গর্ব অনুভব করে। মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। সব সময় বলত, তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি। এটাই আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল। আসলে আমার মা এই জিনিসগুলোতে খুব গর্ব অনুভব করে। বাবা যখন ছিলেন, মাঠে বসে থাকতেন। বাবা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমার বড় ভাইকে দেখেই ক্রিকেটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহ জন্মায়। যখন আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখা শুরু করি, ওই সময় আমার ভাইও ক্রিকেট খেলত। দুইয়ে মিলে আমি সবার সমর্থন পেয়েছি।’ জাকেরের ছোটবেলার স্বপ্নটা বড় হয়েছে বিকেএসপিতে এসে। সেখানের বড় ভাইদের দেখে বড় স্বপ্ন দেখতে শেখেন তিনি, ‘আমি ২০১০ সালে ট্রায়াল দিই বিকেএসপিতে। বিকেএসপিতে আসার পর স্বপ্নগুলো বড় হয় আস্তে আস্তে। আসলে আমার স্বপ্ন শুরুতে এত বড় ছিল না। তখনই বড় ভাইদের কাছ থেকে দেখলাম, আসলে স্বপ্নগুলো বড় করতে হবে। যদি আমি হবিগঞ্জে বসে থাকতাম, আমার কাছে মনে হয় না এত দূরে আসতে পারতাম।’
 
যদিও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। স্বাগতিকদের বিপক্ষে হেরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। জাকের নিজেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। তবে অতীতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে না পারলেও এবার বড় কিছু অর্জনের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি, ‘অবশ্যই ইচ্ছে থাকবে, আমরা আগে যে অর্জনগুলো করতে পারিনি, এ বছর যেন এ রকম কিছু অর্জন করতে পারি, যেটা আগে কখনো হয়নি।’
দেশকণ্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।