দেশকন্ঠ অনলাইন : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আগামীতে মধ্যবিত্তদের ন্যায্যমূল্যে টিসিবি’র পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর পল্লবীর প্যারিস রোড সংলগ্ন শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জুন মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী অর্থবছর থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য দিতে চাই। সুবিধাভোগীরা যেন সময়মতো পণ্যগুলো নিতে পারে। আগামী অর্থবছরে আমরা টিসিবি’র একটি বাফার স্টক তৈরি করার চেষ্টা করব। যাতে বিভিন্ন সময়ে বাজারে পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি হলেও আমরা যেন দামটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। সেই বাফার স্টক থেকে পণ্য সরবরাহ করতে পারি।’তিনি জানান, রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘১ কোটি পরিবার যখন এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পায়, তখন চিনি, চাল, ডাল ও তেলের বাজারের চাহিদাও কিছুটা পূরণ হয়। এর মাধ্যমে আমরা যেমন ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে চারটি পণ্য দিচ্ছি, তেমনি বাজারে দ্রব্যমূল্যের চাপও নিয়ন্ত্রণ করছি। এই মৌসুমে খুব ভালো ধানের ফলন হয়েছে। আমাদের খাদ্য বিভাগ ধান ও চাল সংগ্রহ করছে। আশা করি, আমরা চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’
জুন মাসে পরিবার কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি করে চিনি কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছে টিসিবি।
টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল ইকবাল প্রমূখ।
দেশকন্ঠ//