• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৬:৫৫    ঢাকা সময়: ০২:৫৫

ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু চীন উন্নয়নের বন্ধু : ওবায়দুল কাদের

দেশকন্ঠ অনলাইন : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত ও উন্নয়নের বন্ধু চীন। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাবো, তা কেন নেব না? তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো বলেই অনেক সুবিধা নিতে পেরেছি। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন উন্নয়নের বন্ধু। এই দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে।’

সেতুমন্ত্রী শনিবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর বৈরি সম্পর্ক রেখে কী অর্জন করেছে ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলো? শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই আমরা বাংলাদেশের সমান আরেকটি সমুদ্র পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যায়। গঙ্গাচুক্তিসহ বহুবিধ সুবিধা ভারত থেকে নিতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। যারা বড় বড় কথা বলেন তারা গঙ্গার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। খালি হাতে আগেও ফিরি নাই, এখনো ফিরি নাই।

চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? আমার দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। সেই বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পার্বত্য অঞ্চলও বদলেছে। সড়ক যোগাযোগে এখন পার্বত্য তিন জেলা অনেক উন্নত, একসাথে ৪২টি ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। এখন সীমান্ত সড়ক তৈরি হচ্ছে। শেখ হাসিনা থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিদেশি বহু ফলের চেয়ে অনেক উন্নত মানের ফল উৎপাদিত হয় পার্বত্য তিন জেলায়। এক সময় আনারসই প্রধান ফল ছিল। কিন্তু এখন বহু ধরনের ফল উৎপাদিত হয়। এক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকার কারণে ফল পচে যেত। আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে আপনাদের পাহাড়ের সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নতমানের ফল আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত হয়।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেরা আইনগতভাবে না পেরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। দলটি খালেদা জিয়াকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। বিএনপি এখন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করবে। সরকার তো কোটা রাখেনি, এটা আদালতে মামলা চলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের ব্যাপার।

সাত দিনব্যাপী এই পাহাড়ি ফলমেলা আগামী ১২ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা সাত দিন চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বন জলবায়ু ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জ্বরতী তঞ্চঙ্গা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী প্রমুখ।
দেশকন্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।