দেশকণ্ঠ অনলাইন : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৮ আগস্ট সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের পীরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন ৯ আগস্ট। প্রধান উপদেষ্টার পীরগঞ্জের বাবনপুরে আবু সাঈদের বাড়িতে আসার বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান সাংবাদিকদের জানান, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জের বাবনপুর আসবেন। এখানে এসে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করবেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলবেন।’
৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়কারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না। কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক! বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার পর থেকে আর কোনো তরুণ-তরুণী হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে, যত গুলি মারো-মারতে পারো। আমরা আছি।’
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। পরদিন ১৭ জুলাই পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।
দেশকণ্ঠ//