দেশকণ্ঠ অনলাইন : ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া আরও ১৩ জন উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৭টি মন্ত্রণালয় নিজের হাতেই রেখেছেন তিনি। তার সঙ্গে যে ১৩ জন শপথ নিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে, তাঁদের মধ্যে আরও ১৮টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ওই ১৩ জনের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার হাতে গিয়েছে ৩ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গভবনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শান্তির নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। ইউনূসকে এবং আরও ১৩ জন উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ সাহাবুদ্দিন। অন্তর্বর্তী সরকারে মোট ১৭ জন উপদেষ্টা থাকবেন। ৩ উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে থাকায় তাঁদের শপথ পরে হবে বলে জানানো হয়েছে। ৯ আগস্ট সকালে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বণ্টনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের হাতে রয়েছে ২৭টি মন্ত্রণালয়; সেগুলি হল— ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৫. সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়, ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়, ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়, ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ১২. রেল মন্ত্রণালয়, ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৫. নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়, ১৬. জল সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২৩. অসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ২৪. সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার তথা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রাক্তন বিদেশ সচিব তৌহিদ হোসেনকে দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের নির্বাহী পরিচালক আদিলুর রহমান খান শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। আইন মন্ত্রক এবং বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। নাহিদের হাতে দু’টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব— ডাক মন্ত্রণালয় এবং টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর সজীব ভুঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দেশকণ্ঠ//