দেশকন্ঠ অনলাইন : দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন পপ কুইন ম্যাডোনার ছোটভাই ক্রিস্টোফার সিকোনি। শেষ চেষ্টা করেও তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
সিকোনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার ব্যক্তিত্ব। একাধারে একজন কবি, চিত্রশিল্পী, ডিজাইনার ও নৃত্যশিল্পী। রোববার (৬ অক্টোবর) সিকোনির মৃত্যুর খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানান তাঁর প্রতিনিধি ব্র্যাড টেইলর।
এদিকে, ভাইকে হারিয়ে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন বোন ম্যাডোনাও। হৃদয়স্পর্শী এক লেখার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।
বোনের বেশ কিছু বিখ্যাত শোয়ে নৃত্য পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সিকোনি।বোনের বেশ কিছু বিখ্যাত শোয়ের নৃত্য পরিচালনা করেছেন সিকোনি। ছবি: সংগৃহীত
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গায়িকা জানিয়েছেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ বাঁধনে বেড়ে ওঠা, পাশাপাশি বছরের পর বছর সিকোনির সঙ্গে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল—সেসব বিষয়ে।
ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘আমার ভাই আমার পাশে ছিল। সে একজন চিত্রশিল্পী, কবি ও স্বপ্নদর্শী। আমি তার প্রশংসা করতাম। রুচিবোধ ছিল। আর ছিল তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বর, যা সে মাঝেমাঝে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতো, কিন্তু আমি তাকে সবসময় ক্ষমা করে দিয়েছি।’
ভাই সিকোনির সঙ্গে কখনও কখনও যে মনোমালিন্য হয়নি, এমন নয়! অনেকদিন দুজনের মধ্যে কথাও হয়নি। কিন্তু ভাই যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হলো, তখন মান-অভিমান ভেঙে যায়। সম্পর্ক আবার আগের মতো ফেরে।
সেই বাস্তবতা টেনে ম্যাডোনা বলেন, ‘মাঝে কিছুদিন আমরা কথা বলিনি, কিন্তু যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন আমরা আবারও একে অপরের কাছে ফেরার পথ খুঁজে পাই। যতদিন সম্ভব তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। শেষদিকে আবারও তার খুব কষ্ট হয়েছে, আমরা পরস্পরের হাত ধরলাম এবং একসঙ্গে নাচলাম।’
ম্যাডোনা তাঁর কথা শেষ করেছেন এভাবে যে, তিনি এখন স্বস্তি পাচ্ছেন, কেননা ভাইকে আর কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘তার মতো কেউ হবে না। আমি জানি, সে কোথাও নাচছে!’ শেষে জুড়ে দিয়েছেন হৃদয়ভাঙার ইমোজি।
অনেকেই জানেন, ম্যাডোনার ভাইয়ের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন সিকোনি। তিনি ছিলেন তাঁর ব্যাকআপ ড্যান্সার। এমনকি গায়িকার যুগান্তকারী ওয়ার্ল্ড ট্যুর ‘ব্লন্ড অ্যাম্বিশন’-এও শিল্প নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছেন সিকোনি।
সূত্র: টিএমজেড
দেশকন্ঠ//