• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১১:২৬    ঢাকা সময়: ২১:২৬

আমানতের ওপর যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

  • বাণিজ্য       
  • ১২ অক্টোবর, ২০২৪       
  • ৪২
  •       
  • ২২:০১:০২

দেশকন্ঠ অনলাইন : সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে টাকা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো তাদের সার্ভিস চার্জ রাখার পাশাপাশি গ্রাহকদের আমানতের ওপর সুদ দিয়ে থাকে। গ্রাহকদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা আমানতের ওপর কোনও ব্যাংক কত সুদ দেয়। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদের হারের একটি চিত্র গ্রাহকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়ী আমানতের উপর ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের (এসএনডি) ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে হলে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি বা তার বেশি হলে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় মেয়াদী আমানতে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের।

রূপালী ব্যাংক: সঞ্চয়ী আমানতের উপর ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে হলে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি বা তার বেশি হলে ৩ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় মেয়াদী আমানতে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের।  

জনতা ব্যাংক: সঞ্চয়ী আমানতের উপর ৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে ৪ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি বা তার বেশি হলে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের সাড়ে ৮ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদী আমানতে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের। জনতা ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতে যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে একই সুদের চিত্র বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (বিডিবিএল)।

অগ্রণী ব্যাংক: এই ব্যাংক সেপ্টেম্বরে গ্রাহকদের সঞ্চয়ী হিসাবের উপর ৩ শতাংশ সুদ দিয়েছে। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানত ওপর ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি টাকা পর্যন্ত ৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিয়ে থাকে ব্যাংকটি। এ ছাড়া, মেয়াদী আমানত (ফিক্স ডিপোজিট)-এর উপর ব্যাংকটি সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ পর্যন্ত মেয়াদে আমানত রাখলে সাড়ে ৮ শতাংশ, ৬ মাস থেকে এক বছরের কম সময় পর্যন্ত ৮.৬২ শতাংশ, এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদে আমানত রাখলে সাড়ে ৮ শতাংশ, ৩ বছর বা তার বেশি মেয়াদে আমানত রাখলে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে ব্যাংকটি।

বেসিক ব্যাংক: সেপ্টেম্বরের ব্যাংকটি সঞ্চয়ী আমানতের ওপর সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ দিয়েছে। এ ছাড়া, বিশেষ নোটিস আমানতের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকার নিচে হলে ৪ থেকে ৫ শতাংশ, এক কোটি টাকা থেকে একশ কোটি টাকা বা তার বেশি হলেও একই সুদ দিচ্ছে ব্যাংকটি। মেয়াদী আমানতে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের কম সময়ে আমানত রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের ৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া, ৬ মাস থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় মেয়াদী আমানতে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের।
দেশকন্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।