দেশকন্ঠ অনলাইন : গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলেছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় বেশ ক’জন শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়েছে।
গাজা উপত্যকা থেকে এএফপি জানায়, সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান নুসিরাত শরণার্থী শিবির ও গাজা নগরীর কাছে দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
বাসাল এএফপিকে বলেন, নুসিরাতের কাছে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেয়া একটি ভবনে ইসরাইলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ছয় শিশুসহ ১৫ জন নিহত এবং ১৭ জনেরও বেশি আহত হয়।
তিনি আরো জানান, গাজা নগরীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় নিহত ছয়জনের মরদেহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ ক’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরাইলের আক্রমণ কয়েক হাজার লোককে হত্যা করেছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করেছে।
সহিংসতা শেষ করার সর্বশেষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়, বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
মেনে চলা বাধ্যতাতামূলক নয় এমন রেজুলেশনটি ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোয়, কয়েক মাস ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে এবং একটি অগ্রগতি অর্জনের লক্ষণ দেখা গেছে।
গাজায় রয়ে যাওয়া ৯৬ জিম্মির পরিবারসহ ৩৪ জন ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মৃত বলে দাবি করছে তাদের মুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপির তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলায়১,২০৮ জন নিহত ও ২৫১ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করা হয়।
যার ফলে হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এই গণনায় গাজায় আটক থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া বা নিহত হওয়া জিম্মি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘের নির্ভরযোগ্য বিবেচিত ও ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৪৪,৮০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
দেশকন্ঠ/এআর