• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:৩৬    ঢাকা সময়: ১৪:৩৬

ধানের বাজার মূল্যে খুশি লালমনিরহাটের কৃষকরা

দেশকন্ঠ অনলাইন : ধান কেটে গোলায় তোলার পরও অবশিষ্ট ধান বাজারে বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি জেলার কৃষকরা।

উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলা প্রধানত কৃষিনির্ভর। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

এ বছর প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ধানের উৎপাদন খরচ প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সেই সাথে প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮ থেকে ২১ মন পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।

গত মৌসুমে এই সময়ে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিলো ৯২০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৪০ টাকা পর্যন্ত। তবে ধানের দাম আরও বাড়বে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।

জেলার সদরের বড়বাড়ী ইউনিয়নের কৃষক জাহিদ হাসান (৪০) বলেন, এবার ফলন আশানুরূপ ভালোই হয়েছে। পোকা-মাকড়ের সমস্যা তেমন ছিল না। ২ একর অর্থাৎ (২০০ শতাংশ) জমি থেকে ১২২ মণ ধান পেয়েছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, ধান গোলায় তোলার পর অবশিষ্ট বাকি ধান আজকে বড়বাড়ী বাজারে বিক্রি করলাম। বাজারে ২০ মণ ধান নিয়ে এসেছি।

প্রতি মণ ধান বিক্রি হলো ১হাজার ৩০০ টাকা দরে। ২০ মণ ধান বিক্রি হয়েছে ২৬ হাজার টাকায়। বর্তমানে ধানের বাজারদরে খুশি আমি।

বড়বাড়ি বাজারের ধানের পাইকার ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া (৪৮) বলেন, বাজারে এখনো পুরোদমে ধান আসেনি । খুব কম কৃষকই ধান হাটে এনে বিক্রি করছেন। অধিকাংশ কৃষক বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করছেন। ধানের পাইকাররাও কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ন্যায্য মূল্যে ধান কিনছেন। বর্তমানে আমরা প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৯০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৪০ টাকা দরে কিনছি। হাটে ধানের তেমন সরবরাহ নেই। তবে ধানের দাম কমার সম্ভাবনাও তেমন নেই।

পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান (৩৯) বলেন, গত বছর থেকে ধান চাষে করে কিছুটা লাভবান হচ্ছি।  ধানের বর্তমান বাজারদর অব্যাহত থাকলে আমাদের মত কৃষকেরা ধান চাষে আরও বেশি উৎসাহিত হবে। তিনি  বলেন, ধানের পাশাপাশি বর্তমানে বাজারে খড়ের চাহিদাও প্রচুর। আমার ৩ বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ ধানের আটি খড় পেয়েছি।  যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৩ হাজার ৪০০ টাকার বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল আরিফিন বলেন, এ বছর বাজারে ধানের দাম ভালই । বর্তমানে যে ধানের বাজারদর তা কৃষকদের জন্য অনেক লাভজনক। তবে সারের দাম সরকারিভাবে কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়াও এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে কৃষকদের সেচের পানির জন্য বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। এবার কৃষকদের ধানের ফলন  আশানুরূপ হয়েছে। কৃষকেরা আশানুরূপ দরে ধানও বিক্রি করতে পারছেন। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করে কৃষকরা প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বেশি লাভ করতে পারছেন বলে জানান তিনি।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।