দেশকণ্ঠ অনলাইন : ২০৫ রানের করেও হেরেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠে রংপুর রাইডার্সের কাছে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সিলেটকে হারানোর মূলনায়ক ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস। তার অপরাজিত ১১৩ রানের পাশাপাশি সাইফ হাসানের ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে বড় মার্জিনের জয় ছিনিয়ে নেয় মিকি আর্থারের শীষ্যরা। ঢাকায় এক ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা না পেলেও সিলেটে ঘরের মাঠে জয়ের প্রত্যাশা ছিল। সহকারী কোচ হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুল দলটাকে দারুণভাবে গুছিয়ে এনেছেন। যদি বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে আজিজুল হাকিম তামিম শূন্য রানে আউট হয়ে যান।
এর আগে ঘরে ফিরেই জ্বলে উঠেছিল সিলেটের ব্যাট। বিপিএলের এবারের আসরের ঢাকা পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। যেখানেও নিজের মাঠের মতো ব্যর্থ ছিল তারা। এবার ঘরের মাঠে ফিরে প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠে স্ট্রাইকার্স ব্যাটাররা বড় স্কোর করেছিলেন। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়েছে সিলেট। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে সিলেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন ওপেনার রনি তালুকদার। তাছাড়া জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ রান। ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জজ মান্সির ব্যাটে দারুণ শুরু পায় সিলেট। ১২ বলে ১৮ রান করে মান্সি সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।
মান্সি ফেরার পরও রানের গতিতে ভাটা পড়েনি। তিনে নেমে রনির সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জাকির হাসান। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৩২ বলে ৫৪ রান করেছেন মান্সি। আর জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে পুরো ৫০ রান। এদিন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন পল স্টার্লিং। ব্যাটিং পজিশন বদল করেও সুবিধা করতে পারেননি এই আইরিশ ব্যাটার। ১৬ বল খেলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে মিডল অর্ডারে সিলেটের রানের গতি ঠিক রেখেছেন অ্যারন জোন্স। এক চার আর ৪ ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেছেন তিনি। শেষদিকে উইকেটে এসে রীতিমতো ঝড় তোলেন জাকের আলি। ৫ বল খেলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত ২০ রান করেন তিনি। লোকাল বয়ের ক্যামিওতে সিলেটের রানও দুইশ স্পর্শ করে।
দেশকণ্ঠ/আসো