দেশকন্ঠ অনলাইন : উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৪ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে ক্রিম কালারের একটি গাড়িতে করে রওনা দেন তিনি। গাড়িতে তার পাশে রয়েছেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি। রাত ১০টায় কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে করে ঢাকা ছাড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়ার বিদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিকেল থেকেই তার বাসভবন ও আশপাশের বিএনপির এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। তার বাসভবন থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত সড়কের পাশে দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদেরকে খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এদিকে সন্ধ্যায় গুলশানে ফিরোজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে যান। ৬টার দিকে একটি গাড়িতে করে বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি লাগেজ বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে বলে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, র্যাব, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা বিমান বন্দরের পুরো এলাকাজুড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ রুটে সাধারণ যাত্রী চলাচলের বেশ কিছু জায়গায় বিকল্প পথ ব্যবহারের করতে বলা হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে লন্ডন পৌঁছেই বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি হবেন। পরবর্তীতে লন্ডন ক্লিনিক সুপারিশ করলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হসপিটালে তাকে নেয়া হতে পারে।
সবশেষ সাড়ে সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। সেবার চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় তিনি ভুগছেন। সেই কারণে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডনযাত্রার পর আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি।
দেশকন্ঠ/এআর