দেশকন্ঠ অনলাইন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে অবৈধ অভিবাসীদের একাংশকে পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, চলমান অভিযানে যাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তাদের মধ্যে এমন খারাপ কিছু লোকজন রয়েছে যে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোও আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, সেসব দেশ তাদের ধরে রাখতে পারবে কি না— তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার আমরা তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডেও রাখতে পারছি না। এ কারণেই এই অপরাধীদের গুয়ান্তানামো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা চাই না যে তারা ফের মার্কিন ভূখণ্ডে ফিরে আসুক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে নতুন কয়েদিদের জন্য কারাগারের ধারণক্ষমতায় চাপ পড়বে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, গুয়ান্তানামো বে’র ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পেন্টাগন (মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্তত ৩০ হাজার নতুন বেড যুক্ত করা হবে কারাগারে। আমি আজ এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছি।
উল্লেখ্য, কিউবার গুয়ান্তানামো উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। সেই উপসাগরেরই একটি দ্বীপে অবস্থান গুয়ান্তানামো বে কারাগারের। ২০০২ সালে এ কারাগার তৈরির নির্দেশ দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
এই গুয়ান্তানামো বে কারাগার বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভেদ্য ও নিশ্চিদ্র বন্দিশালাগুলোর মধ্যে একটি। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের রাখা হয় এ কারাগারে।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।