দেশকণ্ঠ অনলাইন : মজানো ভাত, আলুর চোখা, কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, লেবু ও নুন। গ্রীষ্মের দুপুরে তাপপ্রবাহের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বাঙালির পাতে এই কয়েকটি জিনিসই যথেষ্ট। পান্তা ভাত হোক বা জল-ভাত, আরামদায়ী এই খাবারের উপকারও অনেক। পূর্ব ভারতের বিশিষ্ট এই খাবারের অনুরূপ পদের সন্ধান মিলবে দক্ষিণ ভারতেও। অনেকাংশে পান্তার মতোই, কিন্তু পান্তা নয়। ভাত মজিয়ে তৈরি করা এই খাবারটিকে দেশের দক্ষিণ দিকে বলা হয় ‘কাঞ্জি ভাত’ (রাইস কাঞ্জি)। ‘কাঞ্জি’ মানেই হল ফার্মেন্টেটেশন অথবা গেঁজিয়ে ওঠা পানীয়। আপনি যদি পান্তা-প্রিয় হন, তা হলে অবশ্যই ‘রাইস কাঞ্জি’র সহজ রেসিপিটি জেনে রাখতে পারেন। বলিউড এবং দক্ষিণী ছবির প্রখ্যাত অভিনেতা আর মাধবনেরও পছন্দের পদ এটি। গরমের দুপুরে কাঞ্জি খেয়েও তৃপ্তি পেতে পারেন।
উপকরণ
এক কাপ চালের ভাত, একটি টেবিল চামচের অর্ধেক গোটা সর্ষে ও গোটা জিরে, এক টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, অর্ধেক টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২-৩ কাপ জল, ১/৪ কাপ টক দই, একটি পেঁয়াজের কুচি, দু’টি কাঁচালঙ্কা, ৪-৫টি কারিপাতা এবং নুন।
প্রণালী
ভাত রান্না করে একটি মাটির পাত্রে রেখে দিন। তার পর সেটিতে জল ভরে সারা রাত রাখুন। বাঙালির জল-ভাতের মতো ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলে চলবে না। গরম আবহাওয়াতে ভাতের পাত্রটি রেখে দিলে তবেই তা মজিয়ে উঠবে। সকালে মজিয়ে ওঠা ভাত এবং জলকে আলাদা করতে হবে ছাঁকনির সাহায্যে। জল অর্থাৎ কাঞ্জিটিকে আলাদা করে রেখে দিন। এর পর মজানো ভাতগুলি হাত দিয়ে পিষে মাখা মাখা করে ফেলতে হবে। এ বার সেই ভাতে দই, কাঁচালঙ্কা (মাঝখান থেকে চিরে), পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাল করে নাড়াতে হবে। অন্য একটি কড়াইতে ঢিমে আঁচে নারকেল তেল গরম করুন। তার মধ্যে ফেলে দিন গোটা সর্ষে ও গোটা জিরে। কয়েক মুহূর্ত পরে মাখা ভাত আর কারিপাতা যোগ করে দিন তাতে।
সবশেষে গ্যাস থেকে নামিয়ে ভাতটির সঙ্গে আলাদা করে রাখা কাঞ্জিটুকু মিশিয়ে দিন। স্বাদের প্রয়োজন মতো নুন দিতে হবে। পরিশেষে ধনেপাতা কুচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন। অনেকে আবার ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খেতে ভালবাসেন এই কাঞ্জি ভাত।