দেশকন্ঠ অনলাইন : আইসিসি নারী বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের মঞ্চে আত্মপ্রত্যয়ের ঝলক দেখিয়ে, রেকর্ডের চূড়ায় উঠে প্রথম ম্যাচেই নজির গড়ল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৮ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়ে গড়ল নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৪ রানের জয়। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক ছুঁলো টাইগ্রেসরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে শুরুটা একটু ধীর হলেও ধাপে ধাপে রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার ইশমা তানজিম (৮) দ্রুত ফিরে গেলেও ফারজানা হক (৫৩) ও শারমিন আখতার (৯৪*) গড়েন মূল্যবান জুটি। এরপর ঝড় তোলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা—মাত্র ৮০ বলে ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায়।
শারমিন আখতার ছিলেন ম্যাচের নির্ভরতার প্রতীক। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন, আর নিগার-শারমিনের ১৫০ রানের জুটিতেই স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ২৭১ রান।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও যেন আগুন ঝরালেন টাইগ্রেসরা। থাইল্যান্ডের ব্যাটারদের একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় তারা। শুরুতেই উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন বোলাররা, যা কাটিয়ে উঠতে পারেনি প্রতিপক্ষ। ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌসের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি তারা। ফাহিমা ৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট, জান্নাতুল ৫ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে তুলে নেন সমানসংখ্যক উইকেট।
থাইল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে—২৮.৫ ওভারে। এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জেতা নয়, এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোর জন্য মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাসও অর্জন করল নারী দল। সেই সঙ্গে এই বার্তা দেয়, বাংলাদেশ নারী দল এখন আর কেবল অংশগ্রহণকারীর ভূমিকায় নেই, তারা লড়তে এসেছে, জিততে এসেছে।
ম্যাচ সারাংশ
বাংলাদেশ নারী দল : ২৭১/৩ (নিগার ১০১, শারমিন ৯৪*)
থাইল্যান্ড নারী দল : ৯৩ অলআউট (ফাহিমা ৫/২১, জান্নাতুল ৫/৭)
ফল : বাংলাদেশ জয়ী ১৭৮ রানে
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।