দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন ও বর্তমান ভাড়াটে ‘কুখ্যাত’ সেনা কমান্ডার ইগর মানগুসেভ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইউক্রেনে দায়িত্ব পালনের সময় খুব কাছ থেকে তাকে কেউ একজন গুলি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মানগুসেভের স্ত্রী তাতানা দাবি করেছেন, তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ‘কুখ্যাত কমান্ডার’ হিসেবে পরিচিত মানগুসেভ ইউক্রেনের দখলকৃত লুহানস্কে একটি ড্রোন বিধ্বংসী ইউনিটের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০১৪ সাল থেকে লুহানস্কে ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ‘ইয়েনোত’ নামের একটি ভাড়াটে সেনাবাহিনীও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মানগুসেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একজন মানুষের মাথার খুলি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, যে মাথার খুলিটি তিনি ধরে আছেন এটি একজন ইউক্রেনের সেনার। যিনি মারিউপোলে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও প্রকাশ করার পর তাকে কুখ্যাত কমান্ডারের তকমা দেওয়া হয়। মানগুসেভ একজন উগ্র জাতীয়তাবাদী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, তারা ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন না। এর বদলে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘রাশিয়া বিরোধী যে মনোভাব আছে’ সেটির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আর এই যুদ্ধে কত ইউক্রেনীয় মারা যাবে সেটি তাদের কাছে কোনো বিষয় না।
জানা গেছে, মানগুসেভ রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোরিজিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। লুহানস্কের কাদিভকায় একটি চেকপোস্টে মানগুসেভকে ৯ মিলিমিটারের বুলেট দিয়ে গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো। কিন্তু কারা তাকে টার্গেট করে হত্যা করল এখন এ বিষয়টি নিয়েই ধোঁয়াশা চলছে।
দেশকন্ঠ/অআ