দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সৌদি আরবের মসজিদুল হারামের খতিব ও ইমামের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম। তিনি মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ও বিখ্যাত খতিবদের একজন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তার পদত্যাগের বিষয়ে গুঞ্জন শোনা গেলেও গতকাল শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইন। এছাড়াও উম্মিদ নিউজ নামে আরেকটি পোর্টাল থেকেও তার পদত্যাগের খবর প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০২২ সালের শেষদিকে পদত্যাগ করেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম। খবরে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণের অজুহাত দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম। তবে মসজিদুল হারামের ইমামের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও তারাবি নামাজের ইমাম হিসেবে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তিনি। কিছু সূত্রের বরাতে খবরে আরও বলা হয়েছে, শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম তার চুক্তি নবায়ন করতে পারেন এবং বিবেচনার ভিত্তিতে আবারও ফিরে আসতে পারেন।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম বা পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এর আগে এ ধরনের ঘটনায় কখনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি জেনারেল প্রেসিডেন্সিকে। মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিবদের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন দুজন। তাদের একজন হচ্ছেন শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস। অপরজন হচ্ছেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম। রমজান মাসে তারা তারাবি নামাজ পড়াতেন। ড. শুরাইম ১৯৬৬ সালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম সাউদ বিন ইবরাহিম বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহিম আলে শুরাইম। স্থানীয় আরিন স্কুলে প্রাথমিক ও মডেল স্কুলে মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে আল-ইয়ারমুক স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। শৈশব থেকেই তিনি ইসলামের মৌলিক বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জনে মনোযোগী ছিলেন। পবিত্র কোরআনুল কারিম ছিল তাঁর আবেগ ও আগ্রহের বিষয়। পরবর্তী সময়ে কোরআনসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯২ সালে একটি রাজকীয় নির্দেশনায় ড. শুরাইম মক্কার সর্বোচ্চ কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। সেখানে তিনি তিন বছর সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারক হিসেবে নিয়োগের কিছুদিন পর সৌদির সাবেক বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের বিশেষ নির্দেশনা ড. শুরাইম পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। তখন থেকে তিনি পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেশকন্ঠ/অআ