দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামনমারাস শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি সঠিক হিসাব দেওয়া কঠিন। তবে আমি নিশ্চিত এটি দ্বিগুণ কিংবা তার চেয়ে বেশি হবে। গ্রিফিথস যখন এ মন্তব্য করেন তখন আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার বলা হচ্ছিল। আর সোমবার সকালে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার। মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেন, আমরা প্রকৃতপক্ষে মৃতের সংখ্যা গণনা শুরু করিনি।
হিমশীতল আবহাওয়া উপেক্ষা করে হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী এখনও তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৈরি আবহাওয়ার কারণে গৃহহারা লাখ লাখ মানুষকে চরম দুর্দশার মধ্যে সময় কাটাতে হচ্ছে। তাদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গেল সপ্তাহের মারাত্মক এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার প্রসঙ্গে কথা বলতে হিয়ে মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য সাধারণত ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময়কেই সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি শনিবারও কয়েকজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
উদ্ধার অভিযান কবে শেষ হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন হবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি এ মন্তব্যও করেন- ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্কের জন্য অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া গেছে। ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি। এ ভূমিকম্পের ফলে দেশের নানা প্রান্তে ভেঙে পড়েছে অন্তত ৬ হাজার বাড়ি। তার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশকন্ঠ/অআ