দেশকণ্ঠ প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরে ইতোমধ্যে সারে ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। দেশে আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ইউরিয়া, ডিএপিসহ মোট ১১ ধরনের ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে সারের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি মন্ত্রণালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, “মাঠ পর্যায় থেকে সারের প্রকৃত চাহিদা আরেকটু বেশি ছিল। আমরা হিসাব করে একটু কমিয়ে ধরেছি।”
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আগামী অর্থবছরের জন্য ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, ৭ লাখ ৫০ হাজার টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমএপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, ৫ লাখ ৫০ হাজার টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালফেট, দুই হাজার ৫০০ টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, ৫০ হাজার টন বোরন সারের চাহিদা ঠিক করা হয়েছে। ইউরিয়া সারের ক্ষেত্রে ‘বিসিআইসি’র এখন যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা গেলে চাহিদার প্রায় পুরোটাই দেশে উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে গ্যাসের দাম এখন আন্তর্জাতিক বাজারে যা আছে সেই দামে কিনলেও দেশে সার উৎপাদন লাভজনক হবে। আমরা চাইছি, অন্তত ইউরিয়া সার যেন চাহিদার পুরোটাই দেশে উৎপাদন করা যায়।”
চলতি অর্থবছরে সারে কতটা ভর্তুকি দিতে হবে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, “বছর শেষ হওয়ার আগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, আরও ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার অপেক্ষায়। বছরে শেষে বলা যাবে আসলে কত টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।”
চালের বাজার নিয়ে এক প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কেবল উৎপাদন বাড়ালেই হয় না, বেশি চাহিদা থাকলেও অনেক সময়ে দাম বেড়ে যায়। “সে কারণে চাল কিংবা সারে যোগান ঠিক রাখা গেলে দাম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।”
বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে চলের দাম ‘নিম্নমুখী’ জানিয়ে তিনি বলেন, “বেশ কিছু মিলারের সঙ্গে একটা বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। তারা সবাই হাহুতাশ করছে। চালের বিক্রি একেবারেই কমে গেছে। দামও ২/৪ টাকা করে কমে আসছে। এভাবে যোগান পর্যাপ্ত থাকলে কেউ দাম বাড়াতে পারবে না।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্জাক দাবি করেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোম্পানিগুলোর কাছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কোনো বকেয়া নেই। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দেশকণ্ঠ/রাসু