• বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০২:৪৮    ঢাকা সময়: ১২:৪৮

পাহাড়ে বাড়ছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ

দেশকন্ঠ   অনলাইন : জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে বাড়ছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ। পাহাড়ি টিলায় চাষ হচ্ছে আগাম জাতের এ হানিকুইন জাতের আনারস।এ আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশি। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় হানিকুইন জাতের এ আনারসের চাষ বেশি হলেও জেলার অন্যান্য উপজেলার পাহাড়ি এলাকাতেও চাষ হচ্ছে হানিকুইন।

প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই পাওয়া যায় হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। মৌসুমের আগে এ জাতের আনারস উৎপাদন হওয়াতে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান এবং আনারসের ভালো দাম পাচ্ছে। এতে পাহাড়ে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

মৌসুম শুরুর বেশ আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে পাহাড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উৎপাদিত ফল আনারস। বর্তমানে নানিয়ারচরে উৎপাদিত ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস সংগ্রহ করতে এখানে ছুটে আসছেন আনারসের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারদের হাত হয়েই এ আনারস ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে।

নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার আনারস চাষী মো: মামুন মিয়া জানান, পাহাড়ি এলাকায় কৃষকরা আগাম জাতের হানিকুইন আনারসের ফল তুলতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আমার বাগানে উৎপাদিত প্রতিটি আনারস পাইকারদের কাছে বাগানেই ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তিনি তার বাগান থেকে এবার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার হানিকুইন আনারস বিক্রি করবেন বলে জানান।

কৃষকরা বলছেন, আনারসের মৌসুম শুরু না হলেও হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই পাহাড়ি টিলায় আনারস চাষ করছেন কৃষক। এতে মৌসুমে উৎপাদিত আনারসের চেয়ে আগাম হানিকুইন আনারস চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা।

নানিয়ারচর কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ জানান, আধুনিক পদ্ধতি ও পরিমিত হরমোন ব্যবহারে মৌসুমের আগেই মিলছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। তিনি জানান, রাঙ্গামাটির অন্যান্য উপজেলার চেয়ে নানিয়ারচর উপজেলাতেই হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম চাষ হচ্ছে। হানিকুইন চাষ অধিক লাভবান হওয়াতে পাহাড়ের ঢালুতে এ আনারস চাষ দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদে বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি জানান, এ বছর নানিয়ারচরে ১ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ করা হয়েছে। আশাকরি কৃষকরা এবারও ভালো ফলন পাবে।

হানিকুইন জাতের এ আনারস উৎপাদনের জন্য কৃষকরা কৃষিবিভাগের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করছেন এক ধরনের হরমোন। মৌসুমে আনারস চাষে যেখানে চাষীদের লোকসান গুনতে হতো, সেখানে মৌসুমের বাইরে আগাম আনারস চাষে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন কৃষক।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।