• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৫:২৩    ঢাকা সময়: ১৫:২৩

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট থেকে বিরত বাংলাদেশ–ভারত–পাকিস্তান

দেশকণ্ঠ ডেস্ক : রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অপরাধ তদন্তের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ ১৭টি দেশ। দুটি দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তবে এরপরও প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল এ ভোটাভুটি হয়। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অপরাধ তদন্তের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) প্রস্তাবটি তোলে। প্রস্তাবে ১৭টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ২৮টি দেশ খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দুটি দেশ হচ্ছে চীন ও ইরিত্রিয়া।
 
প্রস্তাবের ওপর ভোটের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের স্থায়ী প্রতিনিধি সের্গেই কিসলিৎসিয়া টুইট করেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে ইউক্রেনে উদ্ভূত মানবাধিকার পরিস্থিতির সমর্থনে খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের আমরা অভিবাদন জানাই। দুই দেশ এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিল। এবার যুদ্ধাপরাধের জবাবদিহি হবে!’
 
অবশ্য এর আগেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুতে বিভিন্ন সময় জাতিসংঘে তোলা নানা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটাভুটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘বিস্তৃত, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠা এবং ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪১টি দেশ, ৭টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
 
অন্যদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন ইস্যুতে শুরু থেকে জাতিসংঘে বিভিন্ন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়ে আসছে চীন। গতকালের ভোটাভুটিতেও তারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
দেশকন্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।