দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফাঁস হওয়া ছবি ও ভিডিও কাণ্ডের ঘটনায় তৈরি হওয়া বিতর্ক এখনো থামেনি। ঘটনার পর থেকেই রাজ দাবি করে আসছেন, পোস্টগুলো তার অ্যাকাউন্ট থেকে করা হলেও এসব ভিডিও ফুটেজ কিছুই তার কাছে নেই। তাহলে কীভাবে এই স্থিরচিত্র ও ভিডিও প্রকাশ হলো? সে বিষয়েও এখন পর্যন্ত কিছুই জানেন না তিনি। এদিকে এ ঘটনায় মামলার পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ও তানজিন তিশা। কারণ ভিডিওতে তাদেরও সম্মানহানি হয়েছে। এর জবাবে রাজ বলেছেন, তিনিও চাইছেন মামলা হোক। মামলা করলে ভালো হবে। মামলা হওয়ার পর তদন্ত হবে। তদন্তে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে। মামলা করলেই আসল কালপ্রিট কে, তা জাতি জানতে পারবে। এদিকে রাজের এই বক্তব্যের পর মুখ খুলেছেন তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমণি। একটি সংবাদমাধ্যমকে এই নায়িকা জানিয়েছেন, মামলা হলে তদন্তে যার নাম আসবে, সেটা তিনি মেনে নেবেন। পরী বলেন, ‘আমিও চাই মামলা হোক। কারণ, মামলা হলে তদন্ত হবে। সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে।’
এদিকে ছবি-ভিডিও ফাঁসে অনেকেই আঙ্গুল তুলেছেন এই চিত্রনায়িকার দিকে। বিষয়টি নিয়ে পরীর ভাষ্য, অনেকে হয়তো আমাকে সন্দেহ করছে। কিন্তু আমি কি পাগল? এসব প্রকাশ করতে যাব। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত, সঠিক তদন্ত হলে এমন একজনের নাম আসবে, শুনলে সবাই অবাক হবে। একজন নিদিষ্ট ব্যক্তির দিকে ইঙ্গিত দিলেন পরীমণি, তার নাম প্রকাশ করেননি। তবে এক্ষেত্রে রাজের পরিবারের দিকে তীর ছুড়লেন তিনি। পরীমণি বলেন, শুধু এতটুকুই বলি, সে রাজেরই পরিবারের কেউ। মনে রাখবেন, কোনো কিছুই গোপন থাকে না। একদিন না একদিন সত্য বের হবেই। এমন ঘটনা যে ঘটাতে পারে, সে কত ভয়ংকর। এদিকে এই মামলায় জেলে যেতে হলে তাতেও আপত্তি নেই রাজের। তিনি বলেছেন, ‘এ মামলায় আমাকে জেলে যাওয়া লাগলে আমি যাব। তবে আমি বলতে চাই, আমি কোনো অন্যায় করিনি। যেহেতু আমার আইডি থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে, আমার নামেই মামলা হবে, এটাই স্বাভাবিক। এ মামলাকে স্বাগত জানাই। কারণ, মামলা হলে তদন্ত হবে। আমার ফোন সিজ করবে। কে আপ করেছে, কারা কারা জড়িত ছিল, কোন লোকেশন থেকে এটি প্রকাশ করা হয়েছে, সব বের হওয়া সম্ভব।’
দেশকন্ঠ/অআ