• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৪:০০    ঢাকা সময়: ০০:০০

সামরিক মহড়া শেষ করেছে চীন

দেশকণ্ঠ অনলাইন : তাইওয়ানের চারপাশে দুই দিনের সামরিক মহড়ার সমাপ্তি ঘটিয়েছে চীন।  জেট বিমানগুলিকে  যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজগুলিকে স্ব-শাসিত দ্বীপটি দখল ও বিচ্ছিন্ন করার অনুশীলন করতে দেখা  গেছে। চীনের সামরিক বিশ্লেষকরা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “দেশটিকে তার ‘চালিকাশক্তি কেন্দ্র’ থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নিয়েই তাইওয়ানের নেতৃবৃন্দ, বন্দর ও বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে এই মহড়াগুলো চালানো হয়।” বেইজিং গণতান্ত্রিক দ্বীপটিকে তার ভূখন্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করে না। 
 
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র সিসিটিভি বলেছে, “বৃহস্পতিবার সকালে মহড়া শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুগুলোতে নকল হামলা চালানোর লক্ষ্যে তাইওয়ানের চারপাশে বিমান ও নৌযানগুলো ঘিরে ফেলা হয়।” তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে দায়িত্ব  নেওয়ার তিন দিন পর তার উদ্বোধনী বক্তৃতার প্রেক্ষাপটেই ‘জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪’ এই সংকেতনামে মহড়াটি শুরু করা হয়। চীন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যকে ‘স্বাধীনতার স্বীকারোক্তি’ বলে নিন্দা করে। বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান শুক্রবার বলেন, লাই তাইওয়ানকে ‘যুদ্ধ ও বিপদের বিপজ্জনক পরিস্থিতি’র দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, “যতবার ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বলে তারা আমাদের উস্কে দেবে, ততবারই আমরা আমাদের পাল্টা ব্যবস্থা আরও এক ধাপ এগিয়ে  নেব, যতক্ষণ না মাতৃভূমির পূর্ণাঙ্গ পূনর্মিলন অর্জিত হয়।
 
তাইওয়ান ১৯৪৯ সাল থেকে স্বশাসিত। মূল ভূখণ্ডে গৃহযুদ্ধে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছে পরাজয়ের পর জাতীয়তাবাদীরা দ্বীপে পালিয়ে গিয়ে স্বশাসন প্রতিষ্ঠা করে । চীনের ভীতি প্রদর্শনের  ক্রমবর্ধমান প্রচারণার অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাইওয়ানের আশেপাশে বেশ ক’টি বড় আকারের সামরিক মহড়া চালাতে দেখা গেছে।
দেশকণ্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।