দেশকন্ঠ অনলাইন : ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের কারণে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের একটি বড় অংশ বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্যোগে গতকাল বিদ্যুৎ বিহীন দিন পার করেছেন প্রায় পৌনে ৩ কোটি পরিবার, অফিস এবং কারখানা ও শিল্পগ্রাহক। প্রবল ঝড়ে এবং গাছ পড়ে বিদ্যুৎলাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে সরবরাহ বন্ধ হয়েছে অনেক এলাকায়। আবার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের সব জেলাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন, বিভ্রাট বা লোডশেডিং হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) সূত্র জানায়,রোববার বিকাল থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ, ওজোপাডিকো এলাকায় সাড়ে ৪ লাখ, পিডিবি এলাকায় প্রায় ১ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। কিছু গ্রাহকের সংযোগ গতকাল বিকালে পুনরায় দেওয়া গেলেও সরবরাহ এখনো নিরবচ্ছিন্ন হয়নি। দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অন্তত তিন দিন সময় দরকার হবে। কিছু এলাকায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অধিকাংশ গ্রাহকের স্থাপনায় আজ মঙ্গলবার পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।
বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালের অধিকাংশ গ্রাহক এবং ফেনী, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ জেলাগুলোতে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে, তার ছিঁড়ে এবং সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। সাবধনতাবশত ঘূর্ণিঝড় আঘাতের আগেই অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে বিতরণ সংস্থাগুলো। ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে ৬৫টি সমিতিতে গ্রাহক সংযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহও কমেছে। বিদ্যুতের সরবরাহ চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমিয়েছে পিডিবি। রবিবার গড় উৎপাদন অর্ধেকে নামে। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
দেশকন্ঠ//