• রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:৫৬    ঢাকা সময়: ১৩:৫৬

হবিগঞ্জে পাটের বাম্পার ফলন

  • কৃষি বার্তা       
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪       
  • ৬৮
  •       
  • A PHP Error was encountered

    Severity: Notice

    Message: Undefined offset: 1

    Filename: public/news_details.php

    Line Number: 60

    Backtrace:

    File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/application/views/public/news_details.php
    Line: 60
    Function: _error_handler

    File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/application/controllers/Public_view.php
    Line: 72
    Function: view

    File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/index.php
    Line: 315
    Function: require_once

দেশকন্ঠ অনলাইন : বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও হাওরে পরিমিত পানির উপস্থিতিতে  জেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাল, বিল ও ঝিলে পানি থাকায় সহজেই জাগ দিয়ে পাট ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষকরা।সমস্যা হচ্ছে জেলায় সরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্র  নেই এবং সরকারি মূল্য নির্ধারিত না থাকায় দালাল ফরিয়াদের মধ্যে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদেরকে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা পাট আবাদের জন্য বিখ্যাত। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাট কলে বিক্রি করা হয় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পাট। পাট বিক্রির জন্য মাধবপুর উপজেলা সদরে রয়েছে ছয়টি আড়ৎ। এছাড়াও মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন বাজারে রয়েছে আরও ছয়টি আড়ৎ। এ সব আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই করে পাট যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পাটকলগুলোতে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে মাধবপুর উপজেলার নিচু জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লাখাই উপজেলায়ও নিচু জমিতেও আবাদ হয়েছে বিভিন্ন জাতের পাট।

হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলম জানান, জেলায় এ বছর ৪১০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে দেশী বিভিন্ন জাতের পাট আবাদ হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমিতে। তোষা পাটের মাঝে তোষাপাট ৫ আবাদ হয়েছে ৫০ হেক্টর জমিতে এবং তোষাপাট ৮ আবাদ হয়েছে ৪০ হেক্টর জমিতে। কেনাফ পাটের মধ্যে কেনাফ-৩ আবাদ হয়েছে ১২০ হেক্টর এবং কেনাফ-৫ আবাদ হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও মেস্তা-৩ পাট আবাদ হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে।

তিনি জানান, গতবছর জেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৪৯৯ বেল পাট উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর ভাল আবহাওয়ার কারনে ফলন বেশি হবে। ৪ হাজার বেল পাট উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।তিনি বলেন, পাট উৎপাদনের ব্যয় তেমন বেশি নেই। যে জমিতে পাট আবাদ করা হয় সেই সময়ে তা পতিত থাকে। এছাড়াও পাটের শাক, পাটকড়ি থেকেও কৃষকরা লাভবান হন।

মাধবপুর পৌর এলাকার মা ট্রেডার্স’র আড়ৎদার সিরাজ মিয়া জানান, এ বছর ২ হাজার টাকা মণে পাট বিক্রি হচ্ছে। আরও বেশি দাম না পেলে পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ কমে যাবে। মাধবপুরকে পাট চাষ ও বিক্রির একটি কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু মাধবপুর উপজেলার ১২টি আড়ৎ থেকে প্রতিবছর ৭০/৮০ হাজার মণ পাট বিক্রি হয়। আড়ৎদাররা প্রতি মণে ১০টাকা কমিশন পান। মাধবপুরের আড়তে শুধু হবিগঞ্জের পাটই বিক্রি হয় না। পার্শ্ববর্তী ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার নাসিরনগর উপজেলার পাটও আসে এখানকার আড়তে।

মাধবপুর উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক করম আলী জানান, অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে তারা পাট চাষ করেন। নিজেদের প্রয়োজনের পাট রেখে অবশিষ্ট পাট বাজারে বিক্রি করেন। এক সময় ব্যাপকভাবে পাট আবাদ হলেও এখন পাট আবাদ কমেছে। কারণ ভাল দাম পাওয়া যায় না। ভাল বীজেরও অভাব রয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি ও  বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার আজীবন সদস্য ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, পাটপণ্য পরিবেশ বান্ধব ও জনপ্রিয়। পরিকল্পনার অভাবে ও সিনথেটিক পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধিতে আমাদের সোনালী ফসলটি হারিয়ে যেতে বসেছে। সরকারিভাবে বিভিন্ন ফসলের বীজ কৃষকদেরকে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

অনেক ফসলের জন্য প্রকল্প ও প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করা হয়। পাটের জন্যও অনুরুপ ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারিভাবে কৃষকদেরকে ভাল বীজ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে ফসলের সুদিন ফিরবে। পাশাপাশি কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দিকেও নজর দিতে হবে। পাট পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এই পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ায় এখন পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে হবে।
দেশকন্ঠ//

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।