দেশকণ্ঠ অনলাইন : নির্বাচনকে ঘিরে ৩টি ‘স্টেট’ বা প্রদেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, সেগুলো— হল উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া এবং মিশিগান। ৩টি প্রদেশই আমেরিকার ভোট রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পকে জনমতে টেক্কা। ভোটেও কি শেষ হাসি হাসবেন কমলা। আশায় বুক বাঁধছে ডেমোক্র্যাটেরা।
ভোটের এখনও তিন মাস বাকি আমেরিকায়। তবে তার আগেই রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেক্কা দিলেন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। একটি জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমেরিকার তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশে জনপ্রিয়তায় তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন ট্রাম্পকে। আমেরিকার সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা কলেজ যৌথ ভাবে একটি জনমত সমীক্ষা করেছিল ৫ থেকে ৯ অগস্ট পর্যন্ত। ১৯৭৩ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে তারা দেখেছে ট্রাম্পের থেকে অন্তত চার শতাংশ বেশি জনমত রয়েছে কমলার পক্ষে।
যে তিনটি প্রদেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, সেগুলি হল উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া এবং মিশিগান। তিনটি প্রদেশই আমেরিকার ভোট রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই তিন প্রদেশের ভোটাররা আকছার তাঁদের মতামত বদল করে থাকেন। তাই এই তিন প্রদেশকে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘দোলক প্রদেশ’ বলা হয়। সমীক্ষায় ওই তিন প্রদেশেই কমলার এগিয়ে থাকাকে ডেমোক্র্যাটদের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন আমেরিকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যার জেরে কিছুটা আত্মবিশ্বাসের হাওয়া বইতে শুরু করেছে ডেমোক্র্যাট শিবিরেও।
কিছুদিন আগেও যখন জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন, তখন তাঁর জেতার সম্ভাবনা একরকম নেই বলেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কথায় ইঙ্গিত মিলছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাইডেনের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা আরও বিপদে ফেলছিল ডেমোক্র্যাটদের। অন্য দিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, এ বার ভোটে রিপাবলিক প্রার্থী ট্রাম্পের পাল্লা ভারী। যে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছিল ট্রাম্পের উপরে হামলা হওয়ার পরে। এর কিছু দিন পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে কমলার নাম ঘোষণা করেন বাইডেন। তার মাস খানেকের মধ্যেই কমলার জনপ্রিয়তার প্রমাণও মিলল।
যদিও আমেরিকার রাজনীতিবিদদেরই একাংশ বলছে, ভোটের যে হেতু এখনও মাস তিনেক বাকি, তাই এই ফলাফল দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়াই উচিত হবে না। যে কোনও মুহূর্তে পাশা পাল্টে যেতে হবে। তাই ডেমোক্র্যাটদের সতর্ক থাকতে হবে।
দেশকণ্ঠ//