দেশকন্ঠ অনলাইন : আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে জেলেদের মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। সাগরে নামতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। জেলেপাড়ায় উৎসবের আমেজ। ২২ দিন পর আজ নদী ও সাগরে মাছ শিকারে যাবেন তাই হাসি মুখ জেলেদের।
নিষেধাজ্ঞার সময় মৎসবিভাগ ও কোস্টগার্ড তৎপর থাকায় এবার ইলিশের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন সংশিষ্টরা।
২২ দিন পর মাছ ধরার প্রস্ততি নিচ্ছেন জেলেরা। ঘাটে ঘাটে জেলেদের কর্মব্যস্ততার চিত্র চোখে পড়ার মতো। কেউ জাল বুনছেন,কেউ বা ইঞ্জিন মেরামতের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা শেষ করেছেন। জেলেপাড়গুলোতে চলছে আনন্দ আর ইলিশ শিকারে যাওয়ার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
নৌযান ধোয়া-মোছার সঙ্গে চলছে বরফ ও জ্বালানির মজুদ। মাঝ রাতেই নাও ভাসাবেন জেলেরা।
উপকূলীয় অঞ্চল কুয়াকাটা, চট্টগ্রাম, ভোলা ছাড়াও ইলিশের সবচেয়ে বড় মোকাম চাঁদপুর। চাঁদপুরের ৭শ’ ৭৫ জন জেলে মাছ ধারার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তারা বলছেন, ইলিশ ডিম ছাড়ার পর চলে যায় সাগরে, তাই নদীতে জাল নিয়ে নামলেও মাছ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
মাছ ধরার জন্য জেলেরো অনেকটাই নির্ভরশীল দাদন ব্যবসায়ী বা ক্ষুদ্র ঋণের এনজিওগুলোর উপরে। ইলিশ ধরা একেকটা ট্রলারের সাগরে যেতে হলে কয়েক লাখ টাকার বাজারসদাই লাগে। ডিজেল, বরফ, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে শুরু করে চাল-ডাল-তেল-লবণ, খাবার পানির ড্রাম পর্যন্ত। পর্যাপ্ত ইলিশ না পেলে দেনার টাকা শোধ করাই দায় হয়ে যায় জেলেদের।
ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরায় দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এসময় নিবন্ধিত জেলেদের চাল দেয় সরকার। তবে নিবন্ধন তালিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত সরবরাহ নিয়েও আছে অভিযোগ।
বছর বছর ইলিশ আহরণ বাড়লেও বাজার চড়া। কিন্তু জেলেরা বলছেন, খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের। এত কিছুর পরেও রূপালি ইলিশ এখন তাদের জন্য রূপালি স্বপ্নই।
তবে মৎসবিভাগ বলছে, এবার নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়বে। অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশকন্ঠ//