• মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ২১:৫৩    ঢাকা সময়: ০৭:৫৩

গোপালগঞ্জে বিনাধান-২২ বাণিজ্যিক চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান

দেশকন্ঠ অনলাইন : বালাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত বিনাধান-২২ আমন মৌসুমের একটি আগাম জাত। জাতটি উচ্চ ফলনশীল। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ ধানের দানা লম্বা ও চিকন। নাজিরসাইল টাইপের বিনাধান-২২ এর বাণিজ্যিক আবাদ করে  গোপালগঞ্জের কৃষকরা লাভবান হয়েছেন ।

প্রতি বিঘায় এ জাতের ধান ২০ থেকে ২২ মণ ফলন দিয়েছে। বিঘা প্রতি এ ধান আবাদে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। বিক্রি নেমেছে ২৪ হাজার টাকা থেকে ২৬ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত । বিঘায় লাভ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত । বাণিজ্যিক সাফল্যে জেলায় এ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

বিনা গোপালগঞ্জ উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উদ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, আমন মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় ২৫টি প্রদর্শনী প্লটের  কৃষক বিনাধান-২২ জাতের আবাদ করেন। এছাড়া কৃষকের কাছে সংরক্ষিত বীজে জেলার আরো অন্তত ২৫ হেক্টর জমিতে এ ধানের আবাদ হয়েছে । বিঘায় এ ধান ২০ থেকে ২২ মণ ফলন দিয়েছে। হেক্টরে ফলেছে ৬ টন। এ ধানে রোগ বালাই তেমন নেই। উৎপাদন খরচ বিঘায় মাত্র ১০ হাজার টাকা। ১ বিঘা জমির ধান বিক্রি করে কৃষক ১৪ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করেছেন । জেলায় বাণিজ্যিক চাষাবাদে লাভজনক এ ধানের আবাদ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

উচ্চ ফলনশীল এ ধানের জীবন কাল ১১২ দিন থেকে ১১৫ দিন। ক্ষেত থেকে এ ধান কটে কৃষক মসুর বা সরিষা আবাদ করতে পারেন। এ ধানের বদৌলতে কৃষক একই জমিতে বছরে ৩ থেকে ৪টি ফসল করতে পারছেন।

কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক হাসান মৃধা বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী প্লট করেছি। বীজ, সার, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছে বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। তাদের পরামর্শে আবাদ করে বিঘায় ২২ মণ ফলন পেয়েছি। হিসেব করে দেখেছি ১ বিঘা জমিতে এ ধান চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১ হাজার ২শ’ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছি। এতে আমার নীট লাভ হয়েছে ১৬ হাজার ৪শ’ টাকা। এ ধানের  চাল নাজিরসাইলের মতো। খেতে সুস্বাদু। তাই বাজারে এ ধান একটু বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি।আগামীতে এ ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি করব।

একই গ্রামের কৃষক রাজ্জাক খন্দকার বলেন, আমরা লাভজনক আগাম জাতের এ ধানের আবাদ বেশি করে করতে চাই। সেজন্য বিএডিসিকে পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করতে হবে। আগাম এ জাতের ধান করার পর একই জমিতে বছরে ৩/৪ টি ফসল করতে পারি । এতে ফসলের উৎপাদন বাড়ে । সেই সঙ্গে আমাদের আয় বৃদ্ধি পায়।

বিনা গোপালগঞ্জ উপ-কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী বলেন, এ ধানের  গাছ শক্ত বলে হেলে পড়ে না। ভালো পরিচর্যা পেলে এ ধান হেক্টর প্রতি ৬.১ টন থেকে ৬.৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। স্থানীয় জাত সেখানে বিঘাপ্রতি মাত্র ৬ থেকে ৮ মণ ফলন দেয়। আবাদে সময় লাগে ১৫০ দিন। আগাম ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ ধানের আবাদ করে কৃষক বিঘাপ্রতি ২০/২২ মণ ফলন পেয়ে লাভবান হন।
দেশকন্ঠ//

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।