দেশকন্ঠ অনলাইন : রেকর্ড গড়ে আরেকটি পুরস্কার জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লামিন ইয়ামাল। মাত্র ১৭ বছর চার মাস বয়সে ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার জিতে ইতিহাসে নাম লিখালেন ইয়ামাল। এর মধ্য দিয়ে সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার জেতার রেকর্ড এখন বার্সেলোনার এই তরুণ ফুটবলারের।
মূলত, এই পুরস্কারটি ২১ বছরের কমবয়সী ফুটবলারদের দেয়া হয়ে থাকে। জুরিদের দেয়া ভোটে মোট ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ইয়ামাল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আলেহান্দ্রো গারনাচো, পাউ কুবারসি, কোবি মাইনু, স্যাবিনিও, এনদ্রিক, আর্দা গুলেররা।
ইতালির ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম টাট্টোস্পোর্টে জানায়, ইউরোপের ৫০টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম জার্মানির বিল্ড, স্পেনের মার্কা ও মুন্দো দেপোর্তিভো, ইংল্যান্ডের দ্য টাইমস, ফ্রান্সের লেকিপ, পর্তুগালের এ বোলা, সুইজারল্যান্ডের ব্লিক। প্রত্যেকের ১ নম্বর খেলোয়াড় ১০ পয়েন্ট করে পান বিধায় মোট পয়েন্ট ছিল ৫০০। জুরিদের বেশির ভাগ ইয়ামালকে শীর্ষে রাখায় ৪৮৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
পুরস্কারজয়ী নির্বাচনে প্রত্যেক জুরি ভোট দেন পাঁচজন খেলোয়াড়কে। এর মধ্যে এক নম্বর ভোট পাওয়া খেলোয়াড় ১০ পয়েন্ট, দুই নম্বর ভোট পাওয়া খেলোয়াড় ৭ পয়েন্ট, এবং তৃতীয়জন ৫, চতুর্থজন ৩ ও পঞ্চমজন ১ পয়েন্ট পেয়ে থাকেন।
বার্সেলোনা ও স্পেনের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ইয়ামাল ‘গোল্ডেন বয়’ জিতেছেন। বার্সার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বয়’ জিতেছিলেন লিওনেল মেসি (২০০৫)। আর স্পেনের প্রথম খেলোয়াড় সেস্ক ফ্যাব্রেগাস (২০০৬)।
পুরস্কারটি পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘এই পুরস্কার জিততে পারা দারুণ এক সম্মানের। একটা স্বপ্ন, আমি খুব খুশি। টাট্টোস্পোর্ট ও বিচারকদের ধন্যবাদ। বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচদের আমি ভুলতে চাই না। আমি খুব খুশি এবং সামনে আরও সাফল্য পেতে মুখিয়ে আছি।’
২০০৩ সালে পুরস্কারটি দেয়া শুরু করে টাট্টোস্পোর্ট। এর আগে ওয়েইন রুনি, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং হলান্ডের মতো তারকারা জিতেছেন ‘গোল্ডেন বয়।’ আর বার্সেলোনার চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন ইয়ামাল। মেসি ও ইয়ামাল ছাড়াও এই পুরস্কার জেতেন গাভি ও পেদ্রি।
দেশকন্ঠ/এআর