• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৩:২৬    ঢাকা সময়: ১৩:২৬

দাম ভালোঃ ভোলার চরাঞ্চলে শিম চাষে ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে

দেশকন্ঠ অনলাইন :  জেলায় চরাঞ্চলে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া গত বছরের চেয়ে এ মৌসুমে শিমের বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন এখানকার  কৃষকরা। এসব শিম জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে বাইরের জেলাগুলোতে। এতে একদিকে শিম চাষে আগ্রহ বেড়েছে অন্যদিকে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

শিম চাষীরা জানান, মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসূমে দ্বীপজেলা ভোলায় শিমের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে শিমের সমারোহ। ক্ষেত পরিচর্যা, শিম তোলা ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কিষাণীরা। হালকা কুয়াশা পড়লেও ফলনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানালেন তারা। ভোলা সদরের চরসামাইয়া, পশ্চিম ইলিশার মুন্সীর চর ও দক্ষিণ দিঘলদীর বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শিমের সমারোহ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেখানে কয়েক শতাধিক চাষী শিমের আবাদ করেছেন। ক্ষেত থেকে শিম তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

শিম চাষী মামুন বলেন, প্রতি বছরই তিনি শিমের চাষ করেন। এ বছর ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৬০ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন, শিম বিক্রি করে ২ লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানান। অপর চাষী আলাউদ্দিন বলেন,সোয়া একর জমিতে শিম চাষ করেছি, উৎপাদন খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার শিম বিক্রি হয়েছে, এখনও ২ লাখ টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

শিম চাষী জব্বার লাহারী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর শিমের বাজার দাম অনেক ভালো, গত বছর এসময় কেজি প্রতি শিম বিক্রি হয়েছে ৬০/৬৫ টাকা কিন্তু এ মৌসুমের শুরুতেই দাম পাওয়া যাচ্ছে ১০০/১২০ টাকা। তাই অনেকেই বেশ খুশি। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। এসব শিম চলে যাচ্ছে বাইরের জেলাগুলোতেও।
চরসামাইয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেন জানান, এ গ্রামে অনেক বেশি শিম চাষ হয়, স্থানীয় অনেক চাষী শিমের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, তারা অনেকটা সচ্ছল হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয় চাষীরা জানান, এখানকার শিম ভোলার বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায়। শিম চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদল করছেন চাষীরা। ফল ভালো হওয়ায় হেক্টর প্রতি ৫শ’ মণ করে শিম উৎপাদন হচ্ছে বলে জানালেন শিম চাষীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, ভোলায় সজ্জন পদ্ধতিতে শিমের আবাদ হওয়ায় ফলন অনেক ভালো, তাই দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন এ অঞ্চলের চাষীরা। তিনি আরো বলেন, গত বছর ভোলায় শিমের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর। চলতি বছরে শিম আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৭৭ হেক্টর জমিতে।

তিনি আরো বলেন, গতবছরে শিম উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন। অন্যদিকে এ বছরে সম্ভাবনা ৩০ হাজার ১শ’ ৮৬ মেট্রিক টন। তবে এ বছর সবচেয়ে বেশি শিম আবাদ হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়, সেখানে আবাদের পরিমাণ ১২৩৫ হেক্টর।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।