• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ০৪:১২    ঢাকা সময়: ১৪:১২

ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন

দেশকণ্ঠ অনলাইন : তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচ জিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে চায় লিটন দাসের দল। বিশেষ করে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স চাইছেন সেরা সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরতে। অথচ জন্ম ও বেড়ে ওঠা দেশটির ক্রিকেটার পরবর্তীতে হয়েছিলেন প্রধান কোচও। সেই ফিল সিমন্স এখন শত্রু পক্ষ বাংলাদেশ শিবিরের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে। তার অধীনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। সিমন্স চান শেষ ম্যাচও জিতে যেন হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে পারেন। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। তার আগে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়ের আকাঙ্খার কথা বলেছেন সিমন্স। এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ নিশ্চিত করেছে। যা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৬ বছর পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এবার হোয়াইটওয়াশ করে সেই উদযাপনের ষোলকলা পূর্ণ করতে চান টাইগারদের উইন্ডিজ কোচ।
 
লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে ফিল সিমন্স বলছেন, কোনো দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে কাজ করি, এখানেও সেটাই করছি। হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে কি না জানি না। সিরিজ জিতেছি, এটাই বড় বিষয়। শেষ ম্যাচ তো জিততে চাইব অবশ্যই। জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে চাই, হাসিখুশি হয়ে বাড়ি ফিরতে চাই। ছেলেরা কোন দলের বিপক্ষে খেলছে সেটা বড় বিষয় নয়, তারা যেন জানে তাদের করণীয় কী। ওয়ানডে সিরিজে উইন্ডিজদের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তবে ফরম্যাটটিতে শিষ্যদের পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে বলে দাবি সিমন্সের, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দুটো দল ভিন্ন। দুই দলে কিছু পরিবর্তন আছে। অনেকে আছে যারা ওয়ানডে দলে ছিল না, কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলে এসে যোগ দিয়েছে। আপনি সবসময় আগের চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স চাইবেন। ওয়ানডে সিরিজ হারের পরও ছেলেরা টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছে। যদিও ওয়ানডেতেও আমরা ভালো খেলেছি।
 
সিমন্স আরও বলেন, আমার মনে হয় ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স ওদের আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে যে এই দলের বিপক্ষে ভালো করা সম্ভব। যদিও ফরম্যাটটা একেবারেই আলাদা। যতটা সহজে আমরা জিতেছি, তা আগেভাগে অনুমান করার সুযোগ নেই। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজে হারের পরও এটাতে যেভাবে খেলেছে, আরও যোগ করেন তিনি। শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের জয়ের সামর্থ্য আছে বলে উল্লেখ করেন সিমন্স, আমি প্রতিটি ম্যাচের আগেই বিশ্বাস করি জেতা সম্ভব। ওয়ানডে সিরিজে কোনো ম্যাচ না জিতলেও এখানে এসে আমরা এই আলোচনা করেছি কীভাবে জেতা সম্ভব। প্রথম ম্যাচে এবং দ্বিতীয়টিতেও, এবার তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে বসব কীভাবে জেতা যায়। আমাদের জয়ের সামর্থ্য আছে। এদিকে লিটনের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন হেড কোচ। দলকে তার নেতৃত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
 
সাম্প্রতিক সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টিতেও রানে ফিরতে পারেননি। আর কবে রানে ফিরবেন টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার এমন প্রশ্নও উঠছে। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের বিশ্বাস, শিগগিরই ফর্মে ফিরবেন লিটন। যদিও নেতৃত্বের জন্য লিটনের প্রশংসা করেছেন ক্যারিবীয় এই কোচ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস। তার নেতৃত্বে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টির আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিটনের ক্যাপ্টেন্সির প্রশংসায় সিমন্স, এই দুটি ম্যাচেই লিটন মাঠে দারুণ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে বেশ ভালোভাবেই লিডারের দায়িত্ব পালন করছে। রান করছে না এটা একটু চিন্তার বিষয়। তবে সবাই তো প্রতিদিন রান করবে না। খেলোয়াড়রা প্রস্তুত থাকে ভালো করার জন্য। আশা করি শেষ ম্যাচে সে ঘুরে দাঁড়াবে।
 
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের উইকেট নিয়ে সিমন্স বলেন, প্রথম দিন উইকেট অনেক ভালো ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে যত সময় গড়িয়েছে ব্যাট করা তত কঠিন হয়েছে। তবে লড়াই করেই জিততে হয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়ের কাছেই পিচ একইরকম। টার্ন করেছে বেশ, তবুও বলব না ১৩০ রানের উইকেট এটা। শামীমের ব্যাটিং নিয়ে সিমন্স বলেন, শামীম ম্যাচসেরা হয়েছে, অবশ্যই ওর পারফরম্যান্সে তো খুশি। সে দুটি ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করেছে। এর আগে অনুশীলনেও নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে। সে জানে তাকে কী করতে হবে। দেখে ভালো লাগছে। ম্যাচটার পাশাপাশি হোয়াইটওয়াশই এখন লক্ষ্য।
দেশকণ্ঠ/আসো 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।