দেশকন্ঠ অনলাইন : অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায়ে অভিযান পরিচালনার জন্য সার্কেলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অবৈধ তামাক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য সব কমিশনারেটের অধীন সার্কেল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যের এ কমিটিতে পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও রাখা হয়েছে। আজ এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংগৃহীত ভ্যাটের প্রায় ২৫ শতাংশ আসে সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে। দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও সমজাতীয় তামাকপণ্য ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই অবৈধ তামাক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করছে এনবিআর।
এসব অভিযানের ফলে বাজারে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের পরিমান হ্রাস পেয়েছে। ফলে ভ্যাট পরিশোধিত বৈধ পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। এ তৎপরতা অব্যাহত থাকলে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে। অভিযানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে সচেতন নাগরিক, সুশীল সমাজ, গোপন তথ্যদাতা, সামাজিক এবং ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। উল্লেখ্য, এ বছর জানুয়ারি মাসে ৫২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম) ২৪টি, রাজশাহী ১৭টি, ঢাকা (পূর্ব) ৪টি, কুমিল্লা ২টি, রংপুর ১টি অভিযান পরিচালনা করে।
অন্যদিকে গত ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ১০৭টি। ১ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট অভিযান হয় ৩০টি। ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযান হয় ২৩টি। ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সবগুলো কমিশনারেট মোট ৫৪টি অভিযান পরিচালনা করে। এরমধ্যে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ) ৪টি, ঢাকা (উত্তর) ১টি, ঢাকা (পশ্চিম) ১০টি, চট্টগ্রাম ১২টি, রাজশাহী ১২টি এবং কুমিল্লা ৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।