Severity: Notice
Message: Undefined offset: 1
Filename: public/news_details.php
Line Number: 60
Backtrace:
File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/application/views/public/news_details.php
Line: 60
Function: _error_handler
File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/application/controllers/Public_view.php
Line: 72
Function: view
File: /home/teamdjango/public_html/deshkontho.com/index.php
Line: 315
Function: require_once
দেশকন্ঠ অনলাইন : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজারো ফুল-ফলের গাছের ভিড়ে প্রথমবারের মত ফুটেছে উদাল ফুল। ওষুধি গুণে ভরা উদালের দেখা মেলে না সহজে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ উদালকে বাংলাদেশের ‘মহাবিপন্ন’ প্রজাতির তালিকাভুক্ত উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।আজ সকালে ক্যাম্পাসে এই ফুলের দেখা মিলেছে।
এই গাছটি সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, উদাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। এর ইংরেজি নাম হেইরি স্টারকুলিয়া বা এলিফ্যান্ট রোপ ট্রি। তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম স্টারকুলিয়া ভিলোসা। এটি ২০ মিটার বা ততোধিক উঁচু পত্রমোচী মাথা ছড়ানো প্রজাতির একটি গাছ। এদের বাকল সাদাটে রঙের। এদের পাতার বোঁটা লম্বা, ফলক বড় ও পাতা খাঁজকাটা, পাতার প্রশাখার আগা ঘনবদ্ধ। এদের নিষ্পত্র শাখার লম্বা ও ঝুলন্ত ডাঁটায় অনেকগুলো ফুল ধরে। ফুল পুংলিঙ্গ ও উভয়লিঙ্গ হয়ে থাকে। ফুল ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার চওড়া। ফুলগুলো সোনালি হলুদ রঙের, ফুলের ভেতর বেগুনি। এই গাছের বড় বড় একাধিক বীজ হয়ে থাকে এবং বীজের রং কালো। উদাল গাছের কাঠ বাদামি রংয়ের এবং নরম ও হালকা হয়ে থাকে। এই গাছের কাঠ দিয়ে চা বাক্স বানানো হয়। এই গাছের বাকল থেকে এক ধরনের আঁশ পাওয়া যায়। সেই আঁশ দিয়ে মোটা রশি তৈরি করা যায়। এদের বীজে চাষ করা হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শরীফুল ইসলাম ননতু বলেন, উদালের বাকলের শরবত শরীর ঠান্ড রাখে। ফুলের বৃন্ত ছেঁচে পানির সঙ্গে চিনি দিয়ে শরবত করে খেলে প্রস্রাবের সমস্যা ও বাতের ব্যথা দূর হয়। এর বোঁটাতে এক ধরনের জেলি জাতীয় পদার্থ থাকে যা দুর্বল শরীরকে সতেজ করতে বেশ উপকারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উদাল ছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ গাছ। এর মধ্যে রয়েছে, ঘোড়া চাবুক, তেলসুর, ঢাকিজাম, টেবেবুইয়া, হলদু, ছোটহলদু, ইটোরিয়া, ঝুমকাভাদি, কাঞ্চনভাদি, চুন্দুল, বান্দরহুলা, নহিচিচি, উদাল, হিজল, কর্পুর, জাবাটিকাবা, সুলতান চাঁপা, বিলম্বী, গুস্তাভা, রুদ্রপলাশ, হলুদ পলাশ, স্বর্ণচাঁপা, বক্সবাদাম, জাকারান্ডা, সুন্দরী, কানাইডিঙা, মণিমালা, বাজনা, নাগেশ্বর, কফি, হিমজুড়ি, রক্তন, কুরচি, জাতবাটনা, আগর, রিঠা, লোহা, পীতরাজ, বলচ, ব্রেডফ্রুট, গুটগুইট্টা, তমাল, কুম্ভি, ধারমারা, রসকাউ, পাদাউক, তেজমাটাম, কণকচূড়া, পুত্রঞ্জীব, রুদ্রাক্ষ, উড়আম, হৈমন্তী, সিভিট, বাবলা, লালসোনাইল, পালাম, মাইলাম, কুসুম, ছোটহরিণা, কুচিলা, ক্ষুদিজম, রেডবীচহিবিসকাস, অটোগ্রাফট্রি, কোরাল উড, ডাম্বিয়া, ওসেজঅরেঞ্জ, অ্যাসট্রি আমেরিকান, কুইনাল, খিলখেজুর, হাতিবেল, বাওবাব, চায়নাডল প্রভৃতি।
বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিন বছর আগে উদালের চারা এনে লাগিয়েছিলাম। তিন বছরেই উদালে ফুল ফুটেছে। এই গাছটি বিপন্নদের তালিকায়। এর সংরক্ষণে যথযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। উদাল বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, নেপাল, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়ায় দেখা যায়। তবে তা খুবই কম।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।