দেশকণ্ঠ নিউইয়র্ক প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি উত্তর আমেরিকা আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩২ ও পিঠা উৎসব পরিণত হয় মিলনমেলায়। গত ১৮ এপ্রিল রাতে নিউইয়র্ক শহরের নাগরিক জীবনের কোলাহল ভুলে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীরা মেতেছিল ইলিশ-পান্তা-পিঠা ভোজন আর নাচ-গানের মনোজ্ঞ আয়োজনে।
জ্যাকসন হাইটসের সানই পার্টি হলে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা জামাল টিটু এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন টিটু ও লেখক ও সাংবাদিক দর্পণ কবীর।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা সভা। এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি কাজী আজাহারুল হক মিলন, সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মতিউর রহমান , সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি শামসুল আলম লিটন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদ উদ্দিন, সংগঠনের উপদেষ্টা মনজুরুল করিম, সংগঠনের উপদেষ্টা মহসিন ননী এবং সংগঠনের উপদেষ্টা নাসির উদ্দিন আহমেদ চঞ্চল।

তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীদের নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ধরে রাখার আহবান জানান এবং নতুন প্রজন্মকে নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির চর্চা এবং বাংলা ভাষায় কথা বলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানান তারা। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বক্তব্যে এই বর্ণাঢ্য বাংলা বর্ষবরণ ও পিঠা উৎসব আয়োজন সফল করতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক মোশতাক আহমেদ (নিউটন), রাফাত হোসেন, এস.এম. সায়েম মিঠু, আশিক ইসলাম (কবির) ও দোলন খন্দকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।
নারীরা লাল পাড়ের শাদা শাড়ি এবং পুরুষরা একই রঙের পাঞ্জাবী পড়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় মিলনায়তনে বর্ণিল পরিবেশ তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তি ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বেশ কয়েকজন সুধী ও কমিউনিটি নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্যরা হলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম ও জামাইকা এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও মূলধারার নেতা আহসান হাবিব। এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক শহর ছাড়াও নিউজার্সী, আপস্টেট ও লং আইল্যান্ড থেকে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসী এসে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মোহাম্মদ ওয়াসুদ্দিন, শাহ মাহবুব, নিপা জামান ও মির্জা ফরিদ উদ্দিন।