• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২  নিউইয়র্ক সময়: ১৪:৩২    ঢাকা সময়: ০০:৩২

নওগাঁয় বোরো ধান কাটা শুরু : ভালো ফলন ও দামে খুশি কৃষক

দেশকন্ঠ অনলাইন : বরেন্দ্র জেলা নওগাঁর মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। জেলার অবারিত মাঠজুড়ে সোনালি রঙের পাকা ধানের আঁচল পাতা। বুকভরা আশা আর চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা তাদের সোনার ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। এ বছর ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি মৌসুমের শুরুতেই আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ধান উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁ। বিশেষ করে এ জেলায় বোরো ধান সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এ বছর ১ লাখ ৯২ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া সবদিক থেকে অনুকূলে থাকার কারণে ধান উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে।

জেলার সদর উপজেলার কীত্তিপুর এলাকার কৃষক কলিমুদ্দিন আলী জানান, এবার তিনি ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এর মধ্যে চার বিঘা জমিতে চাষ করা জিরাশাইল জাতের ধান কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। বিঘা প্রতি ২৮ মণ করে ধানের ফলন হয়েছে। তিনি প্রতি মণ জিরাশাইল ধান বিক্রি করেছেন ১৩৫০ টাকায়। মৌসুমের শুরুতেই ধানের দাম ভাল পাওয়ায় খুশি তিনি।

পত্নীতলার বাসিন্দা কৃষক সোলাইমান আল রবি জানান, এ বছর অধিকাংশ জমিতে জিরাশাইল, কাটারিভোগ, নাজিরশাইল জাতের ধান চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ মণ। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা। তবে প্রথমে বাজার ভালো থাকলেও বর্তমানে মণ প্রতি ধানের দাম ১৫০-২০০ টাকা করে কমে গেছে। তাদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দর কমায়। বাধ্য হয়ে কম দরে ধান বিক্রি করতে হয়। তাই বাজারে তদারকি বাড়ানো, পাশাপাশি ফলন ও উৎপাদন খরচ হিসাব করে সরকারিভাবে দর নির্দিষ্ট করে দেয়ার দাবিও জানান কৃষকরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ধান কাটতে আসা শ্রমিক কবিরুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন বলেন, বোরো ধান কাটাকে কেন্দ্র করে এ জেলায় এক শ্রমবাজার গড়ে উঠেছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন ধান কাটতে। তারাও ৪০ জনের একটি দলের সাথে এসেছেন নওগাঁ জেলায় ধান কাটতে। তারা মণ প্রতি ৬/৭ কেজি ধান অথবা প্রতি বিঘা জমিতে ৬/৭ হাজার নগদ টাকা মজুরি হিসেবে নিয়ে থাকেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নওগাঁ জেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাজারে দামও বেশ ভালো। এক কথায় আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন। চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এ থেকে ৮ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই কৃষকরা নিরাপদে তাদের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।