দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : গুঁড়োদুধ, কফি, চকলেট, শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী বহুজাতিক কোম্পানি নেসলে চলতি বছর নিজেদের পণ্যের দাম আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে নেসলের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী মার্ক স্নেইডার। সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য নিজেদের পণ্যের দামবৃদ্ধির ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি স্নেইডার; দাম কী হারে বাড়ানোর পরিকল্পনা কোম্পানি করেছে— সে সম্পর্কিত কোনো ইঙ্গিতও দেননি। কেবল বলেছেন, বিশ্বজুড়ে মুল্যস্ফীতির কারণে কোম্পানির প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামালের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে কোম্পানির ন্যূনতম আর্থিক মুনাফা নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েই ‘মূল্য সমন্বয়ের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে স্নেইডার বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কোম্পানির পর্যবেক্ষণ বলছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কিছু বাজারে ধারাবাহিক চড়া মূল্যস্ফীতি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অন্যদিকে চীন ও ইউরোপে চলছে একপ্রকার নীরব মূল্যস্ফীতি চলছে।’ ‘চড়া মূল্যস্ফীতির কারণে কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে। কোম্পানির সূচক বলছে গত বছর আমাদের গড় উপার্জনের ২৬০টি বেসিস পয়েন্টের অবনমন ঘটেছে। এটা একটা বিশাল লোকসান। এ কারণে ন্যূনতম মুনাফা নিশ্চিত করতেই খাদ্যপণ্যের মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই।’ তিনি আরও জানান, করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে তরল দুধ এবং অ্যারাবিকা কফি— এ দু’টি কাঁচামালের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। গত বছরও নিজেদের সব খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে ১ শতাংশ বাড়িয়েছিল নেসলে। তার মধ্যে কিটক্যাট চকলেট ও ইনস্ট্যান্ট কফির দাম বাড়ানো হয়েছিল সবচেয়ে বেশি— ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
দেশকন্ঠ/অআ