• মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৭:৪১    ঢাকা সময়: ০৩:৪১

ট্রাম্প কি আসলেই ফ্যাসিস্ট?

  • মতামত       
  • ০৫ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ২১:০৪:১৯

অর্ণব সান্যাল, দেশকন্ঠ অনলাইন : ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ২০২৪ সালের সবচেয়ে আগ্রহ জাগানিয়া নির্বাচন হতে চলেছে এটি। এই নির্বাচন সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মেলায় এটি আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠছে। থেমে নেই বিতর্কও। ভোটের ময়দানে ট্রাম্প আছেন, আর বিতর্ক থাকবে না—তা কি হয়! এখন যেমন প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প কি আসলেই ফ্যাসিস্ট?

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলার সময় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস আরেক পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে অভিহিত করেন। ট্রাম্পকে বেশ স্পষ্টভাবে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেন কমলা। তবে ট্রাম্পও তো থেমে থাকার মানুষ নন। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি উল্টো কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ করে বলে দিলেন, আসলে কমলাই ফ্যাসিস্ট। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল এমন–‘আমি নাৎসি নই। আমি নাৎসিবিরোধী। তিনি (কমলা) নাৎসি, ওকে? তিনি নাৎসি।’

এখানে মজার বিষয় হচ্ছে, কমলা যেভাবে ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট বলেছেন, ট্রাম্প কিন্তু কমলাকে সেভাবে বলেননি। বরং কিছুটা ঘুরিয়ে বলেছেন, অবতারণা করেছেন নাৎসিবাদের। এটি ঠিক যে, বিশ্বে ফ্যাসিবাদের শুরুটা হয়েছিল দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যকার ইতালি ও জার্মানিতে। ১৯২০ থেকে ১৯৩০–এর দশকে ইউরোপে এর প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভব ও বিস্তার ঘটে। এবং তার প্রতিভূই মূলত হিটলার ও মুসোলিনি। বেনিতো মুসোলিনি ইতালিতে প্রথম এই রাজনৈতিক দর্শনের শুরু করেছিলেন। পরে এডলফ হিটলারও জার্মানিতে নাৎসিবাদের মোড়কে ফ্যাসিবাদকেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জার্মানি ও ইতালির পর ফ্যাসিবাদী আদর্শের ভিত্তিতে ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গঠিত হয়েছিল। আবার ইউরোপীয় ফ্যাসিস্টদের দেখাদেখি লাতিন আমেরিকাতেও এই আদর্শের প্রসার পরিলক্ষিত হয়েছিল।

তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ফ্যাসিবাদের রূপ পরিবর্তন হয়েছে ঢের। বিবর্তিত হয়ে ফ্যাসিবাদ এখন এমন রূপ নিয়েছে, যাতে শুধু ইতালি বা জার্মানির ধরণ দিয়ে একে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়। ফ্যাসিজম নামক রাজনৈতিক আদর্শের ধারণাটিকেই নানা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়। এর বৈশিষ্ট্যও হরেক। বিশেষ করে একবিংশ শতাব্দীতে এসব বৈশিষ্ট্য আরও নানামুখী হয়েছে। ফলে ফ্যাসিস্ট উপাধিটি রাজনৈতিকভাবে যে কাউকে দেওয়া গেলেও, সেটি প্রমাণ করা কঠিন। রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ফ্যাসিবাদ অত্যন্ত জটিল। একই সঙ্গে এটি নিয়ত পরিবর্তনশীলও।

ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞা আসলে অনেক। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে, এই রাজনৈতিক আদর্শটি নিয়ত পরিবর্তনশীল এবং স্থান–কাল–পাত্রভেদে এর হরেক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, তাই ফ্যাসিবাদকে একদম নিখুঁতভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং এর মান সংজ্ঞা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। কিছু বিশেষজ্ঞ ফ্যাসিবাদ বলতে একগুচ্ছ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, একটি রাজনৈতিক দর্শন বা একটি গণআন্দোলনকে বুঝিয়ে থাকেন। আবার অনেকে বলেন ফ্যাসিবাদ এমন একটি রাজনৈতিক আন্দোলন যেটি উগ্রজাতীয়তাবাদ, সামরিকবাদ এবং ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সর্বাধিক ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ সংজ্ঞাতেই ফ্যাসিবাদকে একনায়কতন্ত্রেরই আরেক রূপ হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে। এটিও মেনে নেওয়া হয়েছে যে, ফ্যাসিবাদে উগ্র জাতীয়তাবাদের চর্চা আবশ্যিক এবং যেকোনো মূল্যেই একে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ নিয়ে আলোচনাও বেশ পুরনো। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ থেকেই মার্কিন মুলুকে নানা মোড়কে ফ্যাসিবাদের চর্চা নিয়ে আলোচনা আছে। অথচ বিশ্বে উদারবাদী গণতন্ত্র নিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলা অন্যতম দেশ হলো আমেরিকা। তবে হ্যাঁ, একবিংশ শতাব্দীতে এই আলোচনা বা সমালোচনার পালে নতুন করে হাওয়া দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ফ্যাসিস্ট কিনা—এই বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে বিস্তর আলাপ–আলোচনা চলেছে এবং এখনও চলছে। বিশেষ করে ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে হওয়া মবের আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়ার পর এই আলোচনা আরও তীব্র হয়। ফ্যাসিবাদে প্রবল প্রতাপশালী ক্যারিশমাটিক নেতার আবির্ভাবের যে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, তার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিল পাওয়া যায় অনেকটাই।

    
আবার উগ্র জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রচারেও ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় আমেরিকায় এ সংক্রান্ত চিন্তা–ভাবনার ব্যাপক প্রসার লক্ষ্যণীয় ছিল। দেশকে বিশ্বমঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি এবার এবং আগেও দিয়েছেন, সেটি ফ্যাসিস্ট নেতারই লক্ষণ বটে। ফ্যাসিবাদে সব সময়ই মহিমান্বিত অতীতকে ফিরিয়ে আনার বা তা নির্মাণের স্বপ্ন দেখানো হয়। ট্রাম্প এটি আগেও করেছেন এবং এখনও করছেন। ফলে এদিক থেকেও ফ্যাসিবাদী লক্ষণের তীব্রতা ট্রাম্পের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।

ইয়েল ইউনিভার্সিটির দর্শনের অধ্যাপক জেসন স্ট্যানলি। তিনি ‘হাউ ফ্যাসিজম ওয়ার্কস’ নামে একটি বই লিখেছিলেন যা ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ফ্যাসিবাদ নিয়ে তাঁর বিস্তারিত গবেষণা আছে। জেসন স্ট্যানলি ২০১৮ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাই এক কথাতেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, ‘ট্রাম্প ফ্যাসিবাদী রাজনীতিরই চর্চা করেন। তবে এর মানে এই নয় যে, তাঁর সরকার ফ্যাসিবাদী। তবে হ্যাঁ, তিনি ফ্যাসিবাদী নানা কৌশল ব্যবহার করে থাকেন।’

অর্থাৎ, পুরো সরকার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী না বানিয়েও নেতা ফ্যাসিবাদী হতে পারেন। এমন নেতারা বিভিন্ন কৌশলে নিজেকে ‘অনিবার্য ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন এবং পুরো সরকার ব্যবস্থা যেন তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়, সেটি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালান। এমন বৈশিষ্ট্য যে ট্রাম্পের মধ্যে আছে, সেটি মুখ মুছে অস্বীকার করাটা কঠিনই বটে।

আর তাই খোদ আমেরিকাতেই ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ মনে করা জনতার সংখ্যা অনেক। ইপসস নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে এবিসি নিউজ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি জরিপ চালিয়েছে। তাতে অংশ নেওয়া আমেরিকানদের অর্ধেকই মনে করে যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ফ্যাসিস্ট। অবশ্য ওই জরিপে কমলা হ্যারিসকেও ফ্যাসিস্ট অভিধা দিয়ে অনেকে মত দিয়েছেন। তবে তা ট্রাম্পের তুলনায় অনেক কম। এই জরিপে অংশ নেওয়া আমেরিকানদের ৪৯ শতাংশই মনে করেন যে, ট্রাম্প একজন ফ্যাসিবাদী। আর প্রায় ২২ শতাংশ মনে করেন, কমলা ফ্যাসিস্ট।

ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ছবি: রয়টার্স
ট্রাম্প ফ্যাসিবাদী কি না, সেই বিতর্কে আরও ঘি ঢেলেছেন জন কেলি। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ ছিলেন তিনি। কেলি সম্প্রতি এক নির্বাচনী অনুষ্ঠানেই বলেছেন, ফ্যাসিবাদের সাধারণ সংজ্ঞা অনুযায়ী ট্রাম্প অবশ্যই ফ্যাসিস্ট। কমলা হ্যারিস এরই সুবিধা নিয়েছেন আদতে। কেলির মন্তব্য ঘিরেই তিনি ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট তকমা দিয়েছেন।

এই ফ্যাসিবাদী তকমা দেওয়াটা মার্কিন রাজনীতিতে খুবই বাজে পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। দেশটিতে কাউকে ফ্যাসিস্ট বলাটা চূড়ান্ত রাজনৈতিক অপমান। সিএনএন–এর এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যেভাবে বিরোধী মত দমনে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের কথা বলেছেন, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করছেন, যেকোনো মতভিন্নতাকে কোণঠাসা করার কথা বলেছেন, নির্বাচনী কর্মকর্তার বিচার করার বা বিচার বিভাগকে ছিন্নভিন্ন করার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তাতে ফ্যাসিবাদী অনেক লক্ষণই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ফলে ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করা মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক রবার্ট প্যাক্সটন এমনি একজন। ফ্যাসিবাদ নিয়ে তাঁর বিস্তর গবেষণা রয়েছে। ট্রাম্পের উসকানিতে ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে সংঘাতের ঘটনার আগ পর্যন্ত প্যাক্সটন মনে করতেন যে, ট্রাম্প আসলে ফ্যাসিস্ট নন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে এই গবেষক তাঁর মত বদলেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট ডাকায় আমার যে আপত্তি ছিল, ক্যাপিটল হিলের ঘটনা তা মুছে ফেলেছে।’ তাই প্যাক্সটনও এখন মনে করেন যে, ট্রাম্প সত্যিই একজন ফ্যাসিস্ট।

অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে না করা মানুষের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। বিশেষজ্ঞও আছেন ঢের। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক ইয়ান–ভারনার মুলার সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানে লেখা এক নিবন্ধে সরাসরি বলে দিয়েছেন, ট্রাম্প ফ্যাসিস্ট নন। তাঁর ভাষায়, উগ্র ডানপন্থী ও জনতুষ্টিবাদী একজন নেতা হলেন ট্রাম্প। তবে তাঁকে ফ্যাসিবাদী বলা যাবে না। ফ্যাসিবাদ এক ধরনের একনায়কতন্ত্র। তবে সব একনায়ক ফ্যাসিস্ট নন। ট্রাম্প ওই অর্থে যুদ্ধের দামামাও বাজান না। ট্রাম্প ভোগসর্বস্ব পুঁজিবাদের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। তবে যুদ্ধে মরে যাওয়াকে তিনি মহিমান্বিত করতে চান না, যদিও যে কোনো ফ্যাসিবাদী নেতা সর্বতোভাবে এটিই করে থাকেন। তাই ট্রাম্প কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী নন। অবশ্য তাই বলে, ট্রাম্প যে বিপদজনক নন, সেটিও বলা যাবে না।

অর্থাৎ, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্যাসিস্ট কিনা—সেই বিতর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে চলে আসাটা একটু কঠিনই। এর পক্ষে–বিপক্ষে নানা মত আছে। তবে এটি মানতেই হবে যে, ফ্যাসিবাদের বেশ কিছু লক্ষণ ট্রাম্পের মধ্যে, অন্তত বাহ্যিকভাবে বিরাজমান অবশ্যই। এবং এ কারণেই ফ্যাসিস্ট তকমা গা থেকে ঝরাতে ট্রাম্পকে বেগ পেতে হবে ঢের। অবশ্য তাতে বেপরোয়া ট্রাম্পের কী আর আসে যায়!

লেখক: উপবার্তা সম্পাদক, ডিজিটাল বিভাগ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
দেশকন্ঠ//

  মন্তব্য করুন
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।