দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের ‘নোয়াগাঁও আশ্রয়ন প্রকল্প’টি এখন সকলের নজর কাড়ছে,যাহা দেশের আশ্রয়ন প্রকল্পের মধ্যে হতে যাচ্ছে একটি মডেল গ্রাম। এলক্ষ্যে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও ভুমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ “ক” শ্রেণীর পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ইতোমধ্যে ৮৯৫টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে যার মধ্যে ‘নোয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্পে’ একসঙ্গে নির্মিত হয়েছে ১শ’টি ঘর। এর আগে ওই উপজেলায় একসঙ্গে ১শ’টি একই এলাকায় একসঙ্গে নির্মিত হয়নি। তবে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে এক-ই এলাকায় একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭০ টি, অন্যস্থানে একত্রে ১৫ টি ও ১৬টি ঘর রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ৪র্থ পর্যায়ে এ উপজেলার বিভিন্নস্থানে আরোও ২০৬টি গৃহের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৫শ’ টি, ২য় পর্যায়ে ৪০ টি, ৩য় পর্যায়ে ৩৫২ টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ২০৬ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী প্রাকৃতিক সম্পদের গর্ভধারিণী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের হাওয়র বেষ্টিত এলাকার মধ্যখানে নির্মিত ‘নোয়াগাঁও আশ্রয়ন প্রকল্প’টি এখন দৃশ্যমান, অনেকদূর থেকেও সকল মানুষের নজর ও কাড়ছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পটি। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যনুসারে গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে ৫.৩৬ একর জমির চতুর্পাশে খাল খনন পূর্বক ৩.২৫ একর জমি ৬-৭ ফুট উচ্চতায় ভরাট করে প্রায় ২বছর কম্পেকশন এর পর সেই জমিতে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ভরাটকৃত এ জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে ১০০ টি ঘর।
নোওয়াগাও আশ্রয়ণ প্রকল্প হলো: মৌজা-লামাপাড়া, জে.এল নং- ১৬৬, খতিয়ান নং- ১, দাগ নং- ৪৭, ৪৯ ও ৫০ এতে মোট জমির পরিমান ৫.৩৬ একর (দৈর্ঘ্য ৭৩০ ফুট, প্রস্থ ৩২০ ফুট), ভরাটকৃত জমির পরিমাণ ৩.২৫ একর (দৈর্ঘ্য ৬৩৫ ফুট, প্রস্থ ২২৫ ফুট) উক্ত জমির চতুর্পাশে খাল খনন পূর্বক জমি ভরাট করা হয়েছে। খননকৃত খালের দৈর্ঘ্য ১৪৫০ ফুট, খালের পানিধারণ ক্ষমতা, ৪.৮৮ মিলিয়ন গ্যালন, প্রকল্পে নির্মিত গৃহ সংখ্যা ১শ’টি (প্রতিটি গৃহে দুটি বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে) প্রতিটি ঘরে নির্মাণ ব্যয় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা। এতে গভীর নলকূপ সংখ্যা হচ্ছে মোট ১০ টি (সাবমার্জেবল পাম্প ও ওভারহ্যাড ট্যাংকসহ), প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, প্রতিটি গৃহে পৃথক মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সিলেট হতে গোয়াইনঘাট উপজেলাগামী পাকা সড়ক হতে প্রকল্পের সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১কিঃমিঃ যা পাকাকরণের কার্যক্রম চলমান।স্থানীয় বাজার হতে দূরত্ব ইউনিয়ন এর প্রধান বাজার “সালুটিকর বাজার” হতে দূরত্ব ৪ কিঃমিঃ।মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন একশতটি পরিবারের প্রত্যেকে পাবেন ২ শতক জমিসহ ১টি ঘর। এই ঘরের উপকারভোগীর নামের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের কেউ কেউ এখনো থাকেন অন্যের জায়গায় ঘর তুলে, অনেকে আবার বসবাস করছেন খাস জমিতে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোর মাধ্যমে প্রকৃত গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারগুলো পাবে তাদের স্বপ্নের আপন ঠিকানা। নিজের জায়গায় নিজের ঘরের সামনে দাঁড়ানোর নতুন স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে তাদের মনে। অসহায় এ মানুষগুলো নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে জেনে মহাখুশি। তারা এখন নিজদের আত্মপরিচয়ে মাথা উঁচু করে নতুন জীবনে যাত্রার স্বপ্ন দেখছেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়,এ প্রকল্পের কাছাকাছি স্থানে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে ৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিলো। ২০২১ এর জানুয়ারি মাসে সেই ঘরগুলো পরিদর্শনে যান সিলেট -৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জনাব ইমরান আহমদ। পরিদর্শনের সময় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত একটি খড়ের ঘরের পাশে নোওয়াগাওঁ গ্রামের মৃত হাতিম আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৭০)কে কান্নারত অবস্থায় মন্ত্রীর চোখে পড়ে। এসময় মন্ত্রী তাঁর সাথে কথা বলে তাকে শান্ত¡না দেন এবং তাকে একটি সরকারি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় মন্ত্রী ওই এলাকায় খাস জমি সনাক্ত করে সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১শ’ টি ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা তৈরী করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খাস জমি বাছাই পূর্বক মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয় এবং পরবর্তীতে মাটি কম্পেকশন এর পর সেই জমিতে ঘর নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বাকি আছে ঘরের রং ও ফিনিশিংয়ের কাজ। যা সমাপ্ত হলে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের আশ্রয়ন প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটা প্রত্যাশা করছেন ঘর পাওয়া মানুষজন ও গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন। প্রকল্পের বর্ণনামতে নওয়াগাওঁ আশ্রয়ণ প্রকল্প হলো মৌজা-লামাপাড়া, জে.এল নং- ১৬৬, খতিয়ান নং- ১, দাগ নং- ৪৭, ৪৯ ও ৫০ এতে মোট জমির পরিমাণ ৫.৩৬ একর (দৈর্ঘ্য ৭৩০ ফুট, প্রস্থ ৩২০ ফুট), ভরাটকৃত জমির পরিমাণ ৩.২৫ একর (দৈর্ঘ্য ৬৩৫ ফুট, প্রস্থ ২২৫ ফুট) উক্ত জমির চতুর্পাশে খাল খনন পূর্বক জমি ভরাট করা হয়েছে। খননকৃত খালের দৈর্ঘ্য ১৪৫০ ফুট, খালের পানিধারন ক্ষমতা,৪.৮৮ মিলিয়ন গ্যালন, প্রকল্পে নির্মিত গৃহ সংখ্যা ১শ টি (প্রতিটি গৃহে দুটি বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে) প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা। এতে গভীর নলকূপ সংখ্যা হচ্ছে মোট ১০ টি (সাবমার্জেবল পাম্প ও ওভারহ্যাড ট্যাংকসহ), প্রতিটি ঘরে বিদ্যুত ব্যবস্থা, প্রতিটি গৃহে পৃথক মিটারসহ বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পটির যোগাযোগ ব্যবস্থা সিলেট হতে গোয়াইনঘাট উপজেলাগামী পাকা সড়ক হতে প্রকল্পের সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১কিঃমিঃ যা পাকাকরণের কার্যক্রম চলমান। স্থানীয় বাজার হতে দূরত্ব ইউনিয়ন এর প্রধান বাজার “সালুটিকর বাজার” হতে দূরত্ব ৪ কিঃমিঃ। প্রকল্প এলাকা সরজমিন ঘুরে দেখা যায় যে,এ প্রকল্পের ঘরের মূল ডিজাইনে শুধুমাত্র বারান্দায় ৩টি জঈঈ পিলার ধরা ছিলো কিন্তু প্রকল্পটির অবস্থান হাওয়র এলাকায় থাকায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সেটাকে একই বাজেটের মধ্যে ঘরের সকল পিলার অর্থাৎ মোট ১২টা পিলারই জঈঈ পিলার করে নির্মাণ করা হয়েছে।
ঘরগুলোর মূল ডিজাইনে শুধুমাত্র বেডরুমের দেওয়ালের ৬ ফুট উচ্চতায় লিন্টেল ধরা ছিলো কিন্তু সেখানে ঘরগুলোকে মজবুত করতে ঘরের পিছনের রান্নাঘর ও সামনের বারান্দাতেও ৬ ফুট উচ্চতায় লিন্টেল দেয়া হয়েছে। ঘরের মূল ডিজাইনে বেডরুমের পিছনের অংশ অর্থাৎ কিচেন ও টয়েলেটের মোট দৈর্ঘ্য ছিলো ১৩ ফুট ৬ ইঞ্চি কিন্তু সেটা বাড়িয়ে ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি করা হয়েছে যা ঘরগুলোর মুল ডিজাইনের মধ্যে এগুলো ছিল না, যার ফলে ওই এপ্রকল্পের প্রতিটি ঘর বাংলাদেশের অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের চেয়ে শক্তিশালী বলে দাবী করছেন সুফলভোগীরা।এছাড়াও সবচেয়ে জরুরি যে সংযোজনটি এ প্রকল্পে তৈরী করা হয়েছে সেটি হচ্ছে ঘরের ফ্লোরে আরসিসি ঢালাই দেয়া হয়েছে যা মূল ডিজাইনে শুধুমাত্র সিসি ঢালাই ধরা ছিলো। ফ্লোরে জঈঈ ঢালাই দেওয়ায় ফ্লোরে কখনই ধাববে না বা ফাটলের সৃষ্টি হবে না। প্রকল্প সুত্রে জানা যায়,এই ১০০টি ঘরের জন্য সমন্বিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা যেমন সারফেস ড্রেন ও সমন্বিত পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা হিসেবে ৫টি সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কাজের জন্য প্রকল্প থেকে কোনও বরাদ্দ ধরা নেই উক্ত ব্যয় নির্বাহের জন্য স্থানীয় ভাবে প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় যে সকল স্থানে এক সাথে কমপক্ষে ১০টি গৃহ নির্মাণ করা হবে সেখানে প্রকল্প অফিস থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সেপটিক ট্যাংক নির্মাণের বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকলে প্রকল্পগুলো আরও সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে দাবি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। এ প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বাসস’কে বলেন, নোওয়াগাওঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পটিকে মডেল গ্রাম বা সাস্টেইনেবল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ডিপটিউবওয়েল, ওভার হ্যাড ওয়াটার রিজার্ভার নির্মাণ পূর্বক ঘরে ঘরে পানি সাপ্লাই এর ব্যবস্থাসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই আশ্রয়ন প্রকল্পের তিন পাশে খাল খনন করা হয়েছে যা এখানকার মানুষের পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি আবাদে সহায়তা করবে। এছাড়া প্রকল্পের পূর্ব পাশ দিয়ে একটি বড় খাল খননের পরিকল্পনা করা হচ্ছে যা সরাসরি পার্শ্ববর্তী নদীর সাথে সংযোগ থাকবে। খালের উৎস মুখে সোলার সেচ পাম্প বসানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে যাতে করে কৃষি আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি একটি ভাল উদাহরণ হওয়া সম্ভব বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শুরু থেকে এপর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, এর সুফল হচ্ছে এ প্রকল্প। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এটাকে একটি আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সরজমিন দেখা যায় নোয়াগাঁও আশ্রয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের আগেই এখানে মোট ১শ’ টি ঘরের মধ্যে ২৩টি ঘরের পরিবার ইতোমধ্যে স্ব স্ব ঘরের দখল বুঝেনিয়ে সেখানে তাদের পরিবার নিয়ে থাকতে শুর করেছেন। তারা স্বপ্নের এ ঘরটি পেয়ে ভীষণ খুশী, এজন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক এ উদ্যোগের জন্য তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এদিকে প্রধামন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় নোওয়াগাওঁ হাইলা হাওর পাড়ে ১শ’ টি পরিবার নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নওয়াগাওঁ আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত প্রায় ১শ’ শ্রমিককে ধন্যবাদ জানাতে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ। এসময় শ্রমিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের প্রতিজনকে একটি করে কম্বল উপহার দেয়া হয়। এসময় এ প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের শ্রমের কথা স্মরণ করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। পরে প্রকল্প এলাকায় সিলেট ও গোয়াইনঘাটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।