দেশকণ্ঠ কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিভ্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামে মরহুম আরিফ খাঁন স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পোস্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আনোয়ার হোসেন খান ওরফে আদেলের নাম দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধারা গত ১০ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বয়কট করেন। পোস্টারে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারের নাম থাকার কারণে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মো. মোফাজ্জল হোসেন খান গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পোস্টারে জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদেরকে নিয়ে তামাশা করা হয়েছে বলে মনে করেন এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও যাচাই বাচাই কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা মিয়া জানান, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ভারতীয় তালিকা, ২০০০ সনের মুক্তি বার্তা তালিকা ও ২০০৫ সনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গেজেটেও আনোয়ার হোসেনের নাম নেই।’ তিনি আরোও বলেন, ’মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও আনোয়ার গত কয়েক বছর যাবৎ নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও তার শাস্তি দাবী করছি।’
আরও জানা যায়, এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ফুলদী গ্রামের যুব মহিলালীগ নেত্রী উম্মুল জাহান ফ্লোরার ছেলে মো. প্রত্যয়কে মারধরের ঘটনায় তার নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আনোয়ার হোসেন দেশকণ্ঠ প্রতিবেদককে জানান, খেলার পোস্টারে আমার নাম দেয়ার ব্যাপারে আমি কিছইু জানি না। খেলা পরিচালনা কমিটির অনুরোধে অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমি অংশগ্রহণ করেছি। কোন তালিকায় নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলাম।’
দেশকন্ঠ/আসো