দেশকন্ঠ ডেস্ক : বছর ঘুরে আবার আসছে পবিত্র রমজান। এ সময় চিরায়ত অভ্যাসগুলোর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও হঠাৎ করেই পাল্টে যায়। রোজা সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য শরীর সুস্থ থাকা প্রয়োজন। আর রমজানে শরীর সুস্থ রাখতে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার খাদিজা কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন জেনে নেই পরামর্শগুলো:
ইফতারের খাদ্য তালিকায় সেসব খাবার খাওয়া উচিৎ, যা শরীরের স্বাস্থ্য সুস্থ ও সতেজ রাখে। যেমন- পানি, জুস, শরবত, খেজুর, কলা, পেঁপে, শশা/খিরা, কাঁচা ছোলা, ভেজা চিড়া, খিচুরি, পায়েস, মিষ্টি, হালিম, কাঁচা ফলমূল ইত্যাদি। ইফতারে স্যুপজাতীয় খাবার খেতে পারেন।
রোজার সময় প্রতিদিনের খাবারের তালিকা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তবে পানি বেশি করে খাওয়া উচিৎ। রাতে ও সেহরির সময় বেশি করে পানি, ভাত, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম একটু ঝোল করে খেতে পারেন। তবে বেশি মসলা ও তেল কসানো তরকারি খাওয়া উচিৎ না। শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভাজাপোড়া, শুকনো খাবার ও তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। খেলেও কম খাওয়া উচিৎ। কারণ, এ জাতীয় খাবার বুকে জ্বালাপোড়া, বদহজম ও গ্যাসের সৃষ্টি করে।
রোজা রেখে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে দূরে থাকুন। বেশি পরিশ্রমের ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে পরিমাণমতো খাবেন। রোজায় যেসব খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় সেসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে।
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে পানি কম খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ইফতারের সময় হতে সেহরির সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।
যারা ডায়েট করে থাকেন রোজায় খাবারের পরিমাণ সীমিত বলে তাদের ডায়েট করার প্রয়োজন নেই। যাদের ডায়েবেটিস আছে তারা সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করবেন। ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।যারা বিভিন্ন রোগের জন্য ওষুধ সেবন করেন, তারা রোজা শুরুর আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ইফতার ও সেহরির সময় ঔষধ সেবন করতে পারেন।
দেশকন্ঠ/এআর
আমাদের কথা
ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।