• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৬:১৫    ঢাকা সময়: ০২:১৫

দুর্নীতির দায়ে সেটেলমেন্ট অফিসার ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : দুর্নীতির মামলায় ঢাকার তেজগাঁও ভূমি অফিসের সাবেক সেটেলমেন্ট অফিসার মো. আশরাফ আলী হাওলাদারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি সাবেক সার্ভেয়ার মো. মনিরুল ইসলামকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৮ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষণার সময় মনিরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মো. আশরাফ আলী পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার উত্তরখানে একটি সম্পত্তির ক্রয়সূত্রে মালিক স্বর্ণা খান। স্বর্ণা খান থাকেন ঢাকায় কাঁঠালবাগান এলাকায়। এত দূর থেকে উত্তরখানে গিয়ে সব সময় সম্পত্তির খোঁজ রাখা সম্ভব ছিল না। তাই, স্থানীয় নূরন্নবী ফিরোজ ওই সম্পত্তি ১৯৯১-১৯৯২ সালের একটি এওয়াজবদল দলিল মূলে দখল করে তার ওপর ঘর তুলে দখলিস্বত্ব স্থাপন করেন। এই দখলের বিরুদ্ধে স্বর্ণা খান আপিল করলে তার নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ডের বিরুদ্ধে নূরন্নবী ফিরোজ আপিল করলে আপিল অফিসার আশরাফ আলী হাওলাদার ওই সম্পত্তি ২০০২ সালে নূরন্নবী ফিরোজের পক্ষে রেকর্ডের রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণা খান আপিল করলে আব্দুল হাকিম উভয় পক্ষের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই আশরাফ আলী হাওলাদারের রায়ের ওপর ভিত্তি করে ২০০৭ সালে রেকর্ড দেওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে আবদুল হাকিমের রায়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণা পুনরায় আপিল আবেদন করলে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার স্বপন কুমার বৈদ্য উভয় পক্ষের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বর্ণা খানের পক্ষে রেকর্ড সংশোধনের সুপারিশ করেন। তার সুপারিশের ভিত্তিতে মহাপরিচালক ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ইবিটি রুলসের ৪৪ বিধি মোতাবেক স্বর্ণা খানের নামে চূড়ান্তভাবে রেকর্ড সংশোধন করেন। যাতে প্রমাণিত হয়, স্বর্ণা খান ক্রয় সূত্রে সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্বেও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. আশরাফ আলী হাওলাদার ও মো. আবদুল হাকিম পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক স্বর্ণার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলকারী নূরন্নবী ফিরোজের নামে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ দেন।

এ অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন খান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফ আলী হাওলাদার, আবদুল হাকিম এবং নূরন্নবী ফিরোজ আসামি ছিলেন।মামলায় ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে আশরাফ আলী হাওলাদার, আবদুল হাকিম এবং নূরন্নবী ফিরোজের সঙ্গে সার্ভেয়ার মো. মনিরুল ইসলামকে সংযুক্ত করা হয়। তবে, আবদুল হাকিম মারা যাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আসামি নূরন্নবী ফিরোজ চার্জ গঠনের শুনানিতে অব্যাহতি পান।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।