দেশকণ্ঠ প্রতিনিধি, তিতাস [কুমিল্লা] : সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমেরিকা ফেরত আকবর হোসেন বাবুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরি উপজেলার উলুপাড়া গ্রামের আশরাফুল হোসেন বেলালের স্ত্রী লিপি আক্তার, মৃত আ. রবের ছেলে কামাল হোসেন, আবুল কালামের ছেলে তাজুল ইসলাম সজিব, সামছুউদ্দিনের ছেলে মো. রহমত উল্লাহ রনি এবং জালাল আহাম্মদের ছেলে মো. রুবেল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ আগস্ট নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ এলাকায় একটি ডোবার মধ্য থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এ ঘটনায় কুমিল্লার লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক শেখ মিল্টন রহমান আকবর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আসামি লিপি আক্তার ও কামাল হোসেনকে এবং পরদিন তাজুল ইসলাম সজিব, মো. রহমত উল্লাহ রনি ও মো. রুবেলকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে আসামিগণের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত।রায়ের সময় লিপি আক্তার ও সজিব পলাতক ছিল। অপর তিন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট জাহিদ হোসেন এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এপিপি এডভোকেট জাহিদ হোসেন বাসসকে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দেশকণ্ঠ/আসো