• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১  নিউইয়র্ক সময়: ১৭:৩০    ঢাকা সময়: ০৩:৩০

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেফতার

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মতিনকে (৭০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) । র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আব্দুল মতিন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার পাখিয়ালা গ্রামের মৃত মিরজান আলীর পুত্র। মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজাকার বাহিনীতে যোগদান করেন মতিন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

র‌্যাব-৩ টিকাটুলি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল সোমবার রাতে আব্দুল মতিনকে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ এলাকায় তার ভাগ্নের বাড়ি থেকে আটক করছে। তিনি দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ পলাতক ছিলেন।

আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫ টি অভিযোগ আনা হয়। আব্দুল মতিন এবং মামলার অপর আসামি তার ভাই আব্দুল আজিজ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের বারপুঞ্জিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা পালিয়ে বড়লেখায় এসে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। এছাড়া আব্দুল মতিন বড়লেখা থানা জামায়াত ইসলামী এবং ১৯৭১ সালে গঠিত ইসলামী ছাত্র সংঘের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

১৯৭১ সালে ১৯ মে আব্দুল মতিনসহ ওই মামলার অপর দুই আসামি আব্দুল আজিজ, আব্দুল মান্নান এবং তাদের সহযোগিরা মিলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার ঘোলসা গ্রাম থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা হরেন্দ্রলাল দাস ওরফে হরিদাস, মতিলাল দাস ও নগেন্দ্র কুমার দাসকে খুন করে।

র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১ মার্চ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুল ও আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই’কে গ্রেফতার করে এবং তারা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। অপরদিকে আব্দুল মতিন তখন গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত ৫ টি অভিযোগ প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে ২০২২ সালের ১৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আব্দুল মতিন, আব্দুল আজিজ এবং আব্দুল মান্নান’কে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার পরপরই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে তিনি পলাতক জীবন যাপন শুরু করেন। তিনি মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার পাখিয়ালা গ্রামের নিজ বাড়ি ছেড়ে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকায় তার ভাগ্নের বাড়িতে আত্মগোপন যান। সেখানে তিনি নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতেন। সোমবার দুপুর সোয়া তিন টার দিকে র‌্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মো. আসাদুজ্জামান বাসসকে জানান, গ্রেফতারকৃত মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্থান্তর করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

আমাদের কথা

ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী অনলাইন মিডিয়া। গতি ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও তথ্যানুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন। যতই দিন যাচ্ছে, অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মানুষের সর্ম্পক তত নিবিড় হচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, সীমান্ত, স্থল-জল, আকাশপথ ছাড়িয়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অনলাইন মিডিয়া’ এখন আর আলাদা কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই ঘটুক, তা আর অজানা থাকছে না। বলা যায় অনলাইন নেটওয়ার্ক এক অবিচ্ছিন্ন মিডিয়া ভুবন গড়ে তুলে এগিয়ে নিচ্ছে মানব সভ্যতার জয়যাত্রাকে। আমরা সেই পথের সারথি হতে চাই। ‘দেশকণ্ঠ’ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্বকে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরির। আমাদের সংবাদের প্রধান ফোকাস পয়েন্ট সারাবিশ্বের বাঙালির যাপিত জীবনের চালচিত্র। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সংবাদও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একঝাক ঋদ্ধ মিডিয়া প্রতিনিধি যুক্ত থাকছি দেশকণ্ঠের সঙ্গে।